|
|
|
|
আবেকার প্রতিবাদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি। সোমবার মেদিনীপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজারের দফতরের সামনে এই কর্মসূচি হয়। সমিতির অভিযোগ, বামফ্রন্ট সরকারকে মানুষ পরাজিত করেছিল বহু প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু, নতুন সরকার আগের সরকারের পথেই চলছে। সমিতির জেলা সম্পাদক জগন্নাথ দাস বলেন, “বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির ফলে ক্ষুদ্রশিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা-সহ সাধারণ মানুষ দারুণ সমস্যায় পড়েছেন। বিল মেটাতে না পেরে অনেকে বিদ্যুৎ সংযোগ হারাচ্ছেন।” এ দিন পিংলা, সবং, দাঁতন, মোহনপুর, খড়্গপুর, ঘাটাল-সহ বিভিন্ন এলাকাতেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। |
|
বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র। |
লোডশেডিংয়ের জেরে দুর্ভোগও বেড়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয়। দফতর সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্যই এই পরিস্থিতি। বিদ্যুৎ দফতরের মেদিনীপুর রিজিওনাল ম্যানেজার সনৎ বিশ্বাসের বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছু নেই। বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্যই লোডশেডিং হয়েছে।” আজ, মঙ্গলবার থেকে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে দফতর সূত্রে খবর। এমনিতেই এখন মেদিনীপুর, খড়্গপুর ও তার আশপাশের এলাকার মানুষ অসহ্য গরমে তিতিবিরক্ত। সোমবার সকাল থেকেও চড়া রোদ ছিল। ফলে অনেকে দীর্ঘ ক্লান্তির পর বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, লোডশেডিং। গোটা রাজ্যে এ দিন বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট। সাধারণত, এমন পরিস্থিতি হলে শহরের তুলনায় গ্রামেই দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং হয়। কারণ, শহরে সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দফতর রয়েছে। অনেক দফতরেই আবার জেনারেটর নেই। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হয়। কিন্তু এ দিন শহর ও শহরতলিতেও লোডশেডিং হয়েছে। |
|
|
|
|
|