|
|
|
|
নতুন উচ্চ-প্রাথমিকে বরাদ্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
উচ্চ-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল সেই ২০০৮-০৯ আর্থিক বছরে। অথচ এখনও কাজে তেমন অগ্রগতি হয়নি। এরই মধ্যে চলতি বছরে ফের ১২৫টি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ দিয়েছে সরকার। পড়ে থাকা কাজ দ্রুত শেষের জন্যও পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সর্বশিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শাশ্বতী দাস বলেন, “স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভাল ভাবে বসতে দেওয়া খুবই জরুরি। পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হয়। তাই এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ যাতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন ও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করেন সে জন্য বলা হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১০৪২টি উচ্চ-প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলেই পরিকাঠামো নেই। নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের বসার ঘর, প্রস্রাবাগার, পানীয় জলের বন্দোবস্ত। ২০০৮-০৯ আর্থিক বছর থেকে গত বছর পর্যন্ত ৬২৫টি স্কুলঘর তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ৪৭৫টি স্কুলঘর তৈরির অনুমোদনও দেয় রাজ্য সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, তার মধ্যে মাত্র ২৭৭টি স্কুলঘর তৈরি হয়েছে। ৯৫টি স্কুলভবন তৈরির কাজ চলছে। বাকি ১০৩টি স্কুলঘর তৈরির কাজ শুরুই হয়নি। কেন? সর্বশিক্ষা দফতরের ব্যাখ্যা, এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়ী, এমন নয়। কিছু ক্ষেত্রে আইনগত বা প্রশাসনিক নিয়ম নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এ বার জটিলতা দূর করতেও উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে নতুন যে ১২৫টি উচ্চ-প্রাথমিক স্কুল তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, সেগুলির কাজ শুরুর ক্ষেত্রে গতি আনতেও উদ্যোগী হচ্ছে সর্বশিক্ষা দফতর।
সেই সঙ্গে কচিকাঁচাদের বাড়ির কাছেই পড়াশোনার সুযোগ সম্প্রসারণে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিশেষত জঙ্গলমহল এলাকায় নতুন ৫৩টি প্রাথমিক স্কুল স্থাপনের জন্যও জেলা সর্বশিক্ষা দফতর রাজ্য শিক্ষা দফতরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। জেলায় বর্তমানে ৪৬৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তবে কিছু এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন যে, তাঁদের গ্রামে স্কুল নেই। প্রশাসনিক কর্তারাও গ্রামে গিয়ে এই ধরনের অভিযোগ শুনতেন যে, গ্রামের ছেলেদের প্রাথমিকের পাঠ নিতে অনেক দূরে যেতে হয়। স্কুল শিক্ষা দফতর এ নিয়ে সমীক্ষাও করে। সেই সমীক্ষায় নতুন ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরির প্রয়োজন ধরা পড়েছিল। সর্বশিক্ষা দফতরের অবশ্য বক্তব্য, ওই ২৫টি স্কুলের পরেও আরও ২৮টি নতুন স্কুল তৈরি প্রয়োজন। তবেই কিলোমিটার পিছু একটি করে বিদ্যালয় থাকবে। তা হলেই একমাত্র কোনও ছাত্রছাত্রীকে প্রাথমিকের পাঠ নিতে বেশি দূরে যেতে হবে না। |
|
|
|
|
|