|
|
|
|
কলাবাড়িতে জখম দাঁতাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নেপালে গুলিতে জখম দাঁতালের এখনও খোঁজ না-মিললেও নকশালবাড়ি লাগোয়া কলাবাড়ির জঙ্গলে অন্য একটি জখম হাতির সন্ধান মেলায় উদ্বেগ বাড়ছে বন দফতরে। ৭ জুন নেপালে স্থানীয় বাসিন্দাদের ছোঁড়া গুলিতে ঠিক কতগুলি বুনো হাতি জখম হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। নেপালের বামনডাঙি এলাকায় বুনো হাতির পাল ভুট্টা খেতে নামলে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতির পাল লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালান বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় একটি বায়া গণেশ জখম হয়েছে বলে নেপালের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সূত্রেই বন দফতরের কর্মীরা জানতে পারেন। রাতেই হাতিটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কলাবাড়ির জঙ্গলে ফিরে আসে। রবিবার রাতে হাতিটিকে শনাক্ত করার জন্য পানিঘাটা রেঞ্জের আধিকারিকেরা রাতভর তল্লাশি চালান। সেই সময়ে বায়া গণেশের সন্ধান না-মিললেও বছর আটেকের অন্য একটি জখম হাতিকে দেখতে পান তাঁরা।
পানিঘাটা রেঞ্জের আধিকারিক ভূপেন বিশ্বকর্মা বলেন, “এই হাতিটিও দাঁতাল। তবে উচ্চতায় বড়জোর সাড়ে ৮ ফুট। সামনের ডান পা ভাঁজ করতে পারছে না। কী ভাবে জখম হল সেটাও স্পষ্ট নয়। উর্ধ্বতন কর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।” এই মুহুর্তে কলাবাড়ির জঙ্গলে প্রায় দেড়শো বুনো হাতির পাল রয়েছে। প্রতিদিনই হাতির পাল ফসলের লোভে নেপালে ঢুকছে। বাসিন্দারাও রোজই বুনো হাতির পালের উপরে হামলা করছেন। সেই কারণেই ঠিক কতগুলি হাতি জখম হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বন্যপ্রাণ বিভাগের উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ব্রিজরাজ শর্মা অবশ্য বলেন, “শিলিগুড়িতে না-থাকায় জখম হাতির ব্যাপারে খবর পাইনি। সংশ্লিষ্ট বনাধিকারিকদের রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট পেলেই পদক্ষেপ করা হবে।” ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গের পরিবেশ প্রেমীরাও। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “প্রতি বছরই বুনো হাতির পাল নেপালে গিয়ে জখম হচ্ছে। ফলে এ বারও বুনো হাতির জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেলে তা উড়িয়ে দেওয়া উচিত হবে না। বরং জখম হাতি চিহ্নিত করে করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।” |
|
|
|
|
|