নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
ফের চন্দননগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাল পরিবারের তিন মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক লাঠি, রড, বাঁশ নিয়ে ওই বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং মহিলাদের মারধর করে বলে অভিযোগ। পরিবারের পুরুষেরা প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে কোনও মতে পালিয়ে যান। ঘটনার খবর পেয়ে চন্দননগর থানার পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু প্রথম দফায় পুলিশ তাণ্ডব থামাতে ব্যর্থ হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বিশাল বাহিনী নিয়ে চন্দননগরের এসডিপিও তথাগত বসু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই মহিলা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। |
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও দলের জেলার কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “দলের সমর্থকেরা মহিলাদের উপর মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের। চন্দননগরে আমাদের দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বলা হয়েছে বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। কেউ দোষ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এসডিপিও জানিয়েছেন, ওই পরিবারটির যাতে আর আক্রান্ত না হন, তার জন্য পরিবারটির উপরে পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে।”
মানকুণ্ডুর যুগীপুকুর কুমোরপাড়া এলাকাটি চন্দননগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে। একটি পুজোর জায়গার জন্য ওই এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল পাল ও তাঁর বাড়ির লোকজনকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মারধর করে, বাড়ির পাঁচিল ভেঙে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সে সময়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদে পাল পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর করা হয়। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর সুযোগ নিয়ে নিয়মিত পাল পরিবারের উপর ‘শাসানি’ এবং ‘হুমকি’ চলছিল বলে অভিযোগ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ফের ওই বাড়িতে ‘হামলা’ হয়। গৃহবধূ লতিকা পাল, তাঁর শাশুড়ি শোভাদেবী এবং ননদ নমিতাদেবীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
লতিকাদেবী বলেন, “আগে ওরা জমির একাংশ দখল করেছিল। এ বার মনে হয় পুরো জমি দখলের জন্য হামলা চালাল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে ফের শাসানি, কটূক্তি চলছে। ননদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।” |