নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অবরোধ, কার্ফু, বনধ বিক্ষোভে জেরবার উত্তর-পূর্বের স্বাভাবিক জনজীবন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের ভাঁড়ারেও টান পড়তে শুরু করেছে।
৪ জুন মণিপুরের চান্ডেল জেলার সীতা গ্রামের বাসিন্দা, পাওখোলেটের মৃতদেহ সংভাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়। গত কাল অবধি অপরাধী ধরা না পড়ায় আজ সকাল থেকে ইম্ফল-মোরে রোডে (৩৯ নম্বর জাতীয় সড়ক) অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ শুরু করেছে যৌথ প্রতিবাদী মঞ্চ।
এ দিকে দলের নেতা সঞ্জীব গগৈকে নাগা পুলিশের মারধরের প্রতিবাদে আজ থেকে নাগাল্যান্ডগামী সব রাস্তায় অনির্দিষ্টকাল অবরোধের ডাক দিয়েছে অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ। গত ৫ জুন মরিয়ানির রাস্তায় নাগা সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনভয়ের আগে আগে বাইকে যাচ্ছিলেন সঞ্জীব বাবু। তাঁর বাইকটি হঠাৎই খারাপ হয়ে যায়। ফলে কনভয়কে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অভিযোগ, তাতেই অধৈর্য্য হয়ে বাস থেকে নেমে নাগা জওয়ানরা সঞ্জীববাবু ও তাঁর সঙ্গীকে মারধর করেন। ৯ জুনের মধ্যে দোষী নাগা পুলিশদের গ্রেফতার করার দাবি জানায় যুব ছাত্র পরিষদ। কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় আজ থেকে মরিয়ানির রাস্তায় নাগাল্যান্ডগামী যানবাহনের চলাচল পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল (ইউএনসি) মণিপুরের চারটি নাগা অধ্যূষিত জেলায় ১৬ থেকে ১৮ জুন বন্ধ ডেকেছে। এই সময় রেলপথের নির্মাণকার্যও বনধ রাখার ‘নির্দেশ’ দিয়েছে তারা। ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিলের অভিযোগ, নাগাল্যান্ড সরকার, ভারত সরকার ও মণিপুর সরকারের মধ্যে ‘মণিপুরি নাগাদের’ নিয়ে যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়েছিল তা এখন বিশ বাঁও জলে। নাগাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। ইতিমধ্যেই নাগা ছাত্র সংগঠন, আনসাম ও ইউএনসি একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মণিপুরি নাগাদের জন্য বিকল্প প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে হবে। এই দাবিতেই বনধ ডাকা হয়েছে। এতে কাজ না হলে আরও বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ইউএনসি। মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড়েও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। দালুতে এক মহিলার হত্যাকে কেন্দ্র করে দু’টি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বেশ কিছু এলাকায় কার্ফু জারি করেছে। |