কেন্দ্র সংখ্যালঘু সংরক্ষণের নতুন প্রস্তাব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল। আজ এই বিষয়ে কেন্দ্রের আর্জি শুনতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। এই জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়টিকে কেন্দ্র যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি বলেও মন্তব্য করেছে বিচারপতি এস রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি জে এস খেহরের বেঞ্চ। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
আইআইটি-র মতো কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে ৪.৫ শতাংশ অনগ্রসর সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট। ফলে, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় কেন্দ্র। আজ কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহনবতী। বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেশ করা হয়নি। ফলে, হাইকোর্টের নির্দেশের উপরে এখন স্থগিতাদেশ দেওয়া অসম্ভব।
বাহনবতী বলেন, আইআইটিগুলির কাউন্সেলিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ৩২৫ জন শিক্ষার্থী এই সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোর্টের আপাতত কিছু পদক্ষেপ করা উচিত। কিন্তু তাঁর যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও নথিপত্র না দেখে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়।
২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর এই সংরক্ষণ নিয়ে নির্দেশ জারি করে কেন্দ্র। তার কিছু দিন পরেই পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচটি রাজ্যে ভোট হয়। সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়েই ইউপিএ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল কোনও কোনও শিবির। নির্দেশ বাতিল করার সময়েও অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, শুধু ধর্মের ভিত্তিতেই সংরক্ষণ করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। সিদ্ধান্তের সমর্থনে আর কোনও উপযুক্ত কারণ আদালতে পেশ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। |