নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত ‘বাফার জোন’ এলাকার একটি ব্যক্তিগত মালিকাধীন জমিতে অবৈধ ভাবে বহুতল নির্মাণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। ধৃত সোমেন দাস পেশায় ঠিকাদার এবং সুবীর টুডুও ওই বহুতলের ‘সাইট ম্যানেজার’।
রবিবার রাতে শান্তিনিকেতনের পশ্চিম গুরুপল্লি এলাকা থেকে পুলিশ ওই দু’জনকে ধরে। যে জমিতে বহুতলটি হচ্ছে, তার মালিক স্থানীয় প্রোমোটার হাজি আফসার আলিকেও পুলিশ খুঁজছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বোলপুর থানায় পাঠভবনের এক প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে পাঁচিল তৈরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। ধৃত দু’জনও ওই ঘটনায়। ধৃত দু’জনকে সোমবার বোলপুর আদালতে হাজির করানো হলে এসিজেএম পীযূষ ঘোষ ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। |
প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য সরকার বীরভূম জেলা প্রশাসনকে কিছু নির্দেশ পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে: বিশ্বভারতীর ‘বাফার জোন’-এ নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরসভা বা এসএসডিএ-র (শ্রীনিকেন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ) পাশাপাশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও (এনওসি) নিতে হবে। ওই এলাকা দখলমুক্ত করতেও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের জেরেই নড়েচড়ে বসে বোলপুর পুরসভা। পুর-এলাকার অন্তর্গত পশ্চিম গুরুপল্লিতে হাজি আফসার আলির প্লটের উপর ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ ভাবে নির্মীয়মাণ ওই বহুতলের কাজ রাখতে বার কয়েকে তারা নোটিস পাঠায়। বোলপুরের পুরপ্রধান সুশান্ত ভকতের অভিযোগ, “কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই ওই বহুতল তৈরির কাজ চলছিল। আমরা তা বন্ধের নোটিসও পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ বন্ধ করা হয়নি।” পুরসভার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পার্থসারথি মণ্ডল রবিবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁদের তৈরি বহুতলের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর পাঁচিল বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় কিছু বিক্ষুব্ধ বাসিন্দার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ধৃত সোমেন ও সুবীর। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রাচীর তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করেন। |