সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে সোমবার কালনা-১ ব্লকের সিমলা, কাঁকুড়িয়া, বেনপুর এবং সুলতানপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত হল বিনাব্যায়ে বাধ্যতামূলক শিশু শিক্ষার অধিকার শীর্ষক একটি সচেতনতা শিবির। এ দিন সিমলা এলাকায় মছলন্দপুর-সিমলা সিদ্ধেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক-সহ বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ শিক্ষক। সেখানে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক অরূপ চৌধুরী বলেন, “শিশুদের সঙ্গে তাদের মতো করেই মিশতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কৃতিত্বে সেখানেই যদি তাঁরা ক্লাসের প্রতিটা ছাত্রকেই আপন মনে করেন। ভয় দেখিয়ে কখনই শিক্ষা দেওয়া যায় না।” সচেতনতা শিবিরে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সের পড়ুয়াদের শিক্ষার ব্যাপারে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়। অবর স্কুল পরিদর্শক বীথিকা ভট্টাচার্য জানান, ওই শিবিরগুলিতে দু’দফায় তিনদিন করে হাজির থাকছেন অভিভাবক, বিদ্যালয়ের সম্পাদক, শিক্ষক প্রতিনিধি, স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধি-সহ অনেকেই। আশা করা যায় শিবিরের উদ্দেশ্য সফল হবে।
|
কলেজে ভর্তির ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এক জন একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলামালের সূত্রপাত রবিবার থেকে। রবিবার বিবেকানন্দ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল দফাদার লাইন না মেনে ফর্ম তোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এই কাজের প্রতিবাদ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আর এক নেতা সুমন চক্রবর্তী। এ নিয়ে মধ্যে প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে। শিক্ষকেরা তখনকার মতো গোলমাল আয়ত্তে আনেন। অভিযোগ, সোমবার ফের গোপালবাবু লাইন না দিয়েই ফর্ম তোলার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তখনই পাঁচ ছাত্র আহত হন। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |