ছাগলে লাউ গাছ খাওয়া নিয়ে বচসায় এক বধূকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর এক পরিবারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরে তপনের দৌড়কৈল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। হতের নাম খাজামণি দাস (৪২)। মাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছে মৃতার ১৩ বছরের মেয়ে মামণি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার নিহতের স্বামী কৈলাসবাবু ৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ জানিয়েছে, কৈলাসবাবু হাটে হাটে ভেষজ ওষুধ বিক্রি করেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁদের বাড়ির পাশেই প্রতিবেশী কৃষজীবী বিমল সরকারের বাড়ি। কৈলাশবাবুর ছাগল বিমলবাবুদের বাড়িতে ঢুকে লাউ গাছের পাতা খায় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জখম মামণি’র অভিযোগ, “মা ছাগল আনতে ওঁদের বাড়িতে গেলে বিমলবাবু, তার দুই ছেলে ও স্ত্রী বাঁশ দিয়ে মাকে মারধর শুরু করে। মা’র চিৎকার শুনে আমি যাওয়ায় আমাকেও মারধর করা হয়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।” মৃতার স্বামী কৈলাশবাবু বলেন, “ওই পরিবার সঙ্গে আমাদের শত্রুতা ছিল না। ছাগলে লাউয়ের পাতা খাওয়ার কারণে ওরা স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে তা ভাবতে পারছি না। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” বাসিন্দারা জানান, ওইদিন হাটবার থাকায় এলাকার অধিকাংশ পুরুষ বাড়িতে ছিলেন না। গ্রামের কয়েকজন গুরুতর জখম মা ও মেয়েকে উদ্ধার করেন বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই খাজামণিদেবী মারা যান। এদিন ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বেগতিক বুঝে অভিযুক্তরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান। |