মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিক। ফের উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার মধ্যে নজরকাড়া ফল করল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর হাই স্কুল। এই স্কুলের ছাত্র বিশাল কুন্ডু ৪৭২ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে পঞ্চম স্থান পেয়েছেন। জেলায় সর্বোচ্চ নম্বরের তালিকায় সেরার তকমাটিও বিশালেরই। এবারের জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ডাক্তারিতে রাজ্যে পঞ্চম স্থান পেয়েছেন গঙ্গারামপুরের ওই মেধাবি ছাত্রটি। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর সাফল্যে গঙ্গারামপুর জুড়ে খুশির হাওয়া। জয়েন্টে সফল হওয়ার পরে উচ্চ মাধ্যমিকেও বিশাল রাজ্যের মেধা তালিকায় ঠাঁই পাবে, এমনটা যে ভাবতেই পারেননি তাঁর বাবা, পেশায় শিক্ষক বিবেকানন্দ কুন্ডু ও মা শিল্পী দেবী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে ঘোষিত মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে বিশালের নাম প্রচার হতেই গঙ্গারামপুরের ইন্দ্রনারায়ণপুর কলোনির বিশালদের বাড়িতে খুশি হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। পাড়া প্রতিবেশীরাও আনন্দে মেতে ওঠেন। বিবেকানন্দবাবু বলেন, “জয়েন্ট নিয়ে ও বেশি উৎসাহী ছিল। ভাবিনি উচ্চ মাধ্যমিকেও এত ভাল ফল হবে।” খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক বিপ্লব মিত্রও। তিনি বলেন, “একই বছরে জীবনের দু’দুটি বড় পরীক্ষায় ভাল ফল করে বিশাল জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। ও গঙ্গারামপুরের গর্ব।” বাড়িতে গিয়ে তিনি বিশালকে অভিনন্দন জানিয়ে আসেন। বিশালের সাফল্যে খুশি স্কুলের শিক্ষকেরা। ৬ জন গৃহশিক্ষকের কাছে টিউশন নেওয়ার পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে নিয়মিত তালিম নিয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক কমলেন্দু বসাক বলেন, “সেশন শুরু হতেই প্রতিটি ক্লাস নিয়মিত করার উপর সকলে জোর দিয়েছেন। ক্লাস ফাঁকি ছিল না। এর ফলে মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও মিলেছে।” বিশাল মাধ্যমিকে ৭৪৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছিলেন। এবারে উচ্চ মাধ্যমিকে বিশালের বিষয় ভিত্তিক নম্বর হল বাংলায় ৮০, ইংরাজিতে ৯৫, পদার্থবিদ্যায় ৯৯, অঙ্কে ৯৮, রসায়নে ৯৮ এবং জীববিদ্যায় ১০০। সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পড়াশোনার মধ্যেই থাকতেন বিশাল। তারই ফাঁকে সুযোগ পেলে বিবেকানন্দের বই পড়া ও গান করা ছিল তাঁর প্রিয় শখ। বিশালের কথায়, “খুব ভাল লাগছে। ডাক্তারি পড়া নিয়ে মনোনিবেশ করতে চাই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে। ভাল ডাক্তার হয়ে গঙ্গারামপুরে ফিরে এসে গরিব মানুষের সেবা করতে চাই।” |