একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পেরে সদলবলে স্কুলে চড়াও হয়ে শিক্ষকদের হুমকি, কাগজপত্র তচনচ করার অভিযোগে উঠল এক ছাত্র ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নবদ্বীপ আরসিবি সারস্বত মন্দির স্কুলের প্রধানশিক্ষক সহ ১৯ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী মঙ্গলবার নবদ্বীপ থানায় এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই ছাত্র ও তার পরিবার বুধবার নবদ্বীপ আদালতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরে অভিযুক্ত ওই ছাত্র স্কুলে ফর্ম জমা দিতে আসে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিজনকুমার সাহা বলেন, “২ জুন বেলা ২টো পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফর্ম জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময় ছিল। ওই ছাত্র সেই সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে ফর্ম জমা দিতে এসেছিল। আমাদের সে দিন স্কুলে একটি আলোচনাসভা ছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি। সেখানেই ওই ছাত্র ফর্ম নিতে হবে বলে চাপাচাপি করতে থাকে। তারপরে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করেছে।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তারপরে ৪ জুন ওই ছাত্র কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আবার স্কুলে আসে। বিজনবাবু বলেন, “সে দিন চেয়ার টেবিল উল্টে দেয় তারা। কাগজপত্র তচনচ করে। এর পরে মঙ্গলবারও আবার সেই একই কাণ্ড হওয়ায় বাধ্য হয়েই আমরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।” ওই ছাত্রের পরিবারের অইনজীবী সুব্রত গুঁই বলেন, “ওই ছাত্র ঠিক দিনে ঠিক সময়েই ফর্ম জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ায়। কিন্তু কাউন্টারে পৌঁছনোর সময় ২টো ৫ বেজে যায়। তখন তার ফর্ম আর নেওয়া হয়নি। উল্টে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রের কাছ থেকে অনুদান দাবি করেছিল। ওই ছাত্রের মা’কে ধাক্কাধাক্কিও করা হয়। তাই আমরা প্রধানশিক্ষক ও এক সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৫৪ ও ৫০৬ ধারায় আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি।” বিজনবাবুর অবশ্য দাবি, অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। নবদ্বীপ থানার আইসি শঙ্কর কুমার রায়চৌধুরী বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে।” |