কুপার্স ক্যাম্পে এ বার চতুর্থ বার বোর্ড গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিই এ বার তাদের দখলে গিয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন পর্ব শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে কুপার্সে পরবর্তী কে পুরপ্রধান হবেন, তা নিয়ে জল্পনা। তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর সিংহ বলেন, “কে চেয়ারম্যান হবেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে তা ঠিক করা হবে।” গত পুরপ্রধান নৃপেন্দ্রনাথ হাওলাদার এ বার পরাজিত হয়েছেন।
কংগ্রেস মহলের অবশ্য খবর পুরপ্রধানের দৌড়ে এ গিয়ে রয়েছেন তিন জন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শিবু বাইন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রশান্ত সরকার এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্জয়কুমার সাহা।
এ বার ভোটের ফল থেকে দেখা যাচ্ছে কুপার্সের বাসিন্দারা অভিজ্ঞ মুখের উপরেই বেশি ভরসা করছেন। ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতেই পুরনো কাউন্সিলররাই এ বারও জিতেছেন। ভোটের ব্যবধানও অনেক ক্ষেত্রেই বেশ ভাল। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসও অভিজ্ঞ মুখের উপরেই নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিবুবাবু গত পুরসভায় উপপুরপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি এই নোটিফায়েড এলাকার কাউন্সিলর। বাড়ি ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রথমে সেই ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর হয়েছিলেন। পরের বার ওই ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি চলে আসেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখান থেকেই পরপর তিন বার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গত পুরবোর্ডেই তাঁর পুরপ্রধান হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুরপ্রধান হন নৃপেন্দ্রনাথবাবু।
প্রশান্তবাবু এই নোটিফায়েড এলাকার প্রথম বারের পুরপ্রধান ছিলেন। তিনিও এই নিয়ে পরপর চার বার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিও বেশ ভাল ভোটেই জিতেছেন।
পরপর চার বার ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন সঞ্জয়কুমার সাহাও। সঞ্জয়বাবুর বাড়ি ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। কুপার্স এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট। পাশাপাশি, উপ পুরপ্রধানের নাম নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের কেউ কেউ মনে করছেন তরুণ তুর্কি নেতা হিসেবে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দত্তরই সুযোগ বেশি। আবার মহিলা হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে হলে ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরপর তিন বার নির্বাচিত শুভ্রারানি হালদারের কথাও ভাবা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। |