|
|
|
|
অর্থাভাবে উপজাতি পেনশন অমিল পশ্চিমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অর্থাভাবে উপজাতিদের পেনশন আটকে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরে। একই কারণে উপজাতি-ছাত্রাবাস এবং লোধা আশ্রমগুলিও বরাদ্দ পায়নি। ফলে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমস্যায় পড়েছে। ধার-দেনা করে চালাতে হচ্ছে হস্টেলের খরচ। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ আধিকারিক শান্তনু দাস বলেন, “আমরা বরাদ্দ অর্থ চেয়ে পাঠিয়েছি। টাকা পেলেই পেনশন ও হস্টেলের বরাদ্দ দিয়ে দেব। তবে ঝাড়গ্রাম মহকুমার প্রতিটি ব্লকেই মার্চ পর্যন্ত পেনশন দেওয়া হয়েছে।”
কিন্তু জেলার অন্য তিনটি মহকুমার কয়েক হাজার গরিব তফসিলি উপজাতিভুক্ত মানুষ গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে পেনশন পাচ্ছেন না। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত উপজাতি-পেনশনের টাকা তিন মাস অন্তর আসে। কিন্তু এ বার ৫ মাসেও জেলা প্রশাসনের কাছে বরাদ্দ অর্থ আসেনি। কবে আসবে, তা নিয়েও সংশয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা। যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁদের নামে ব্যাঙ্কেই টাকা পাঠানো হয়। সে জন্যেও সময় লাগে। আবার যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই তাঁদের হাতে হাতে টাকা দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সময় আরও বেশি লাগে। কারণ, ওই ব্যক্তিদের জানাতে হয়। শিবির করা হয়। তার মানে, জেলায় বরাদ্দ এসে পৌঁছলেও পেনশন-প্রাপকদের হাতে টাকা পৌঁছতে আরও বিলম্বেরই আশঙ্কা।
তফসিলি উপজাতির বয়স্ক ব্যক্তিদের মাসে ১ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো রাজ্য সরকার তালিকা পাঠিয়েছিল। জেলার ২৯ হাজার ১২৩ জন পেনশন পাওয়ার উপযুক্ত বলে তাঁদের পেনশন দেওয়া শুরু হয়। যাঁদের মধ্যে ২৩ হাজার ৪৫৪ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাকিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা চলছে বলেও জেলা-প্রশাসন জানিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঝাড়গ্রামের ১০ হাজার ৬০২ জনকে পেনশনের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জেলার বাকিদের জন্য বরাদ্দ মেলেনি।
একই ভাবে প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত জেলার তফসিলি জাতি-উপজাতির ছাত্রাবাস, লোধা আশ্রমগুলিও। এমনকী স্কলারশিপের টাকাও অনেকেই পাননি। ২০১১-১২ অর্থবর্ষ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রাপ্য মেলেনি বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছিল, ওই খাতে কত টাকা প্রয়োজন। জেলা জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরের জন্য ৩ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা বকেয়া দাঁড়িয়েছে। পলাশচাবাড়ি নিগমানন্দ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিতাইচরণ ঘোষাল বলেন, “ছাত্র-পিছু মাত্রই সাড়ে ৭০০ টাকা মেলে। তা-ও দীর্ঘ সময় ধরে না মেলায় খুবই সমস্যা হচ্ছে।” জেলা অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ আধিকারিক অবশ্য বলেন, “কোন খাতে কত টাকা প্রয়োজন, তা রাজ্যস্তরে জানিয়েছি। টাকা এলেই দিয়ে দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|