নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে নদীর জল বেড়ে অসমের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। জল বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র-সহ বেশ কিছু নদীতে। ভেসে গিয়েছে কয়েকটি সেতু। মাজুলিতে তিনটি স্কুল জলের তলায়। করিমগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কুশিয়ারা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ধুবুরিতে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিতে জখম হেয়েছেন অন্তত তিন ব্যক্তি। ছাদ ধসে জখম হন আশিস কর্মকার ও সুনীল কর্মকার। উড়ে আসা টিনের চালের ধাক্কায় আহত হন গণেশ আলি। বিলাসিপাড়ার ঘোষপাড়া, সুভাষপল্লি এলাকায় ২০টি বাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গুয়াহাটি শহরের বিভিন্ন অঞ্চলেও জল জমে যায়। পাশাপাশি, টানা বর্ষণে বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে অরুণাচলে দিবাং এরং নিম্ন দিবাং উপত্যাকার জেলাগুলির মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায় চারদিন ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে আনিনি ও রোয়িং জেলা সদর। |
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদী।
বুধবার উত্তম কুমার মুহরির তোলা ছবি। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভারী বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে গুয়াহাটির বহু এলাকায় জল জমে যায়। ধস নামে রাজভবনের লাগোয়া রাস্তায়। অসম ও অরুণাচলের জনাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গিয়েছে। অরুণাচলের দিক থেকে নামা জলে ব্রহ্মপুত্র ও তার শাখানদীগুলির জলতল অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ডিব্রুগড়, তেজপুর, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়ায় ব্রহ্মপুত্রের জল বিপদসীমার কাছাকাছি। জল বাড়ছে কপিলি, জিয়া ভরালি, ধানসিরি, দিসাং, দিখৌ, বুড়ি ডিহিং, লালির পালি, মানস, বরাক, কাটাখাল, কুশিয়ারা নদীতে। ডুবেছে লখিমপুরের নাওবৈচা ও নারায়ণপুর। গত তিন দিনে, বাক্সা ও উদালগুড়ি জেলার রৌমারি, কেসাঝাড়, গরমপাড়া গ্রাম জলমগ্ন। তিনসুকিয়ার পাঁচটি, মাজুলির ৩০টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। মাজুলির তিনটি স্কুল জলের তলায়। ভেসে গিয়েছে উত্তর লখিমপুর ও কমলাবাড়ির মধ্যে যোগাযোগের সেতু। |