মহাকরণ
কর্মীদের ক্ষোভের জেরে তাপমোচনের উদ্যোগ শুরু
ত্যধিক গরমে মহাকরণের যে সব দফতরের ঘরে হাওয়া চলাচল না করায় হাঁসফাঁস অবস্থা কর্মীদের, সে সব জায়গায় দ্রুত এগ্জস্ট পাখা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি, মহাকরণের বিভিন্ন তলে বসছে ঠান্ডা পানীয় জলের যন্ত্রও। বুধবার সকালে প্রচণ্ড গরমে ঘরে বসে কাজ না করতে পারার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান মহাকরণের বিচার বিভাগের কর্মীরা। প্রতিবাদে ঘরের বাইরের বারান্দায় কাজ করতে বসেন কেউ কেউ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তৎপর হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেই সকালে মহাকরণে ঢোকার সময়ে গেটের সামনে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের দেখে তাঁদের রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে বারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিতরে ঢুকে ছায়ায় গিয়ে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন তিনি।
তার পরেই দুপুরে বিক্ষোভ হয় বিচার বিভাগে। সেখানকার কর্মীদের বক্তব্য, তীব্র গরমের জন্য কর্মস্থলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যে ঘরে তাঁরা কাজ করেন, সেই ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢোকে না। গরমের জন্য গত কয়েক দিনে এক মহিলা-সহ পাঁচ জন কর্মী কাজ করতে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ।
গরমে ঘরে টেকা দায়। ফাইলপত্র নিয়ে তাই বারান্দায়। বুধবার, মহাকরণে। —নিজস্ব চিত্র।
এর আগে ২০১০ সালেও গরমের জেরে কাজ করতে অসুবিধার কথা জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ওই বিভাগের কর্মীরা। পরে তাতে যোগ দেয় চারতলার পূর্ত, কারা এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরও। বিচার বিভাগের দফতরের ঠিক নীচেই মহাকরণের তিনটি ক্যান্টিনের হেঁশেল। সে সময়ে কর্মীদের অভিযোগ ছিল, হেঁশেলে আগুন জ্বালানোয় রান্নার সময়ে তাপ উঠে আসে দোতলায় বিচার দফতরে। সে সময়ে হেঁশেলের তাপ নিরোধের বিশেষ ব্যবস্থা করে তৎকালীন বাম সরকার। বিচার দফতরে বসানো হয় বাতানুকূল যন্ত্রও। কিন্তু এর পরে একই কারণে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহাকরণের চারতলার সব দফতরের কর্মীরা। কিন্তু তখন কেবল পূর্ত দফতর আর তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেই বসে কয়েকটি বাতানুকূল যন্ত্র। পরে বর্ষা আসাতেই সেগুলি তুলে নেওয়া হয়।
কর্মীরা এ দিন দাবি করেন, কাজের জায়গায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার সেই দায়িত্ব পালন না করলে, তাঁদের পক্ষে গরমের সময় ঘরে বসে কাজ করা সম্ভব নয়।
পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার জানান, পর্যাপ্ত সংখ্যায় ব্লোয়ার এবং এগ্জস্ট পাখা বসিয়ে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে কর্মীরা আর গরমে কষ্ট না পান। তিনি বলেন, “মহাকরণ যে ভাবে তৈরি হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় ভাবে বাতানুকূল ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তবে মহাকরণের বিদ্যুৎ লাইনের আমূল সংস্কারের কাজ চলছে। তা শেষ হলে কোথায় কী বাতানুকূল ব্যবস্থা করা যায়, তার চিন্তাভাবনা হতে পারে।”
এগ্জস্ট ও ঠান্ডা জলের মেশিন বসানোর কাজ প্রথম দফায় শুরু হবে মহাকরণের চতুর্থতল থেকে। কারণ, গরমের সময়ে তাঁদের কাজ করতে সবচেয়ে অসুবিধা হয়। পাশাপাশি, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কর্মীদের দাবি মেনে মহাকরণের চারটি তলাতেই ঠান্ডা পানীয় জলের যন্ত্রও বসানো হবে। প্রথম দফায় তেমন দশটি যন্ত্র বসবে। পরে আরও আনা হবে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.