চাহিদা কমে যাওয়ায় এ বার পেট্রোল গাড়ি তৈরি কমাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। দেশের বৃহত্তম সংস্থা মারুতি-সুজুকি এর মধ্যে তিন দিন পেট্রোল গাড়ি তৈরি বন্ধ রেখেছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, অন্যান্য সংস্থাও এর উৎপাদন কমিয়ে ডিজেল গাড়ি তৈরির উপর জোর দিচ্ছে। কারণ তা না-হলে ডিজেল গাড়ির জন্য যখন শো-রুমে ক্রেতাদের লম্বা লাইন পড়ছে, তখন পেট্রোল গাড়ির মজুত ভাণ্ডার ক্রমশ ফুলে-ফেঁপে উঠছে।
দাম বিনিয়ন্ত্রণের পরে পেট্রোলের দাম চড়চড় করে বাড়ছে। ফলে ডিজেল-পেট্রোলের দামের ফারাকও ইতিমধ্যেই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আর এর জেরেই ডিজেল গাড়ির চাহিদা ছাপিয়ে গিয়েছে পেট্রোল গাড়িকে। মারুতি-সুজুকি-র ম্যানেজিং এগ্জিকিউটিভ অফিসার ময়াঙ্ক পারেখ বলেন, “পেট্রোল গাড়ির চাহিদা এখন খুবই কম। আমাদের সাধারণত তিন সপ্তাহের গাড়ি মজুত থাকে। কিন্তু এখন পেট্রোল গাড়ির ক্ষেত্রে তা প্রায় সাড়ে চার সপ্তাহ। আমরা চাই না বাড়তি গাড়ি জমা হোক।”
সেই সূত্রেই গত ২৫-২৬ মে ও ২ জুন অল্টো, মারুতি ৮০০, এ-স্টার, এস্টিলো ও ওমনি গাড়ির উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল সংস্থাটি। পরিসংখ্যান না-দিতে চাইলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই তিন দিনে কমপক্ষে ৮,০০০ পেট্রোল গাড়ি কম তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১১-র চেয়ে এ বারের মে মাসে সংস্থার ছোট গাড়ির বিক্রি কমেছে প্রায় ২৯%।
এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও চাহিদা অনুযায়ী গাড়ির তৈরির কথা জানিয়েছে টাটা মোটরস বা ফোর্ড ইন্ডিয়া-ও। তাদের বক্তব্য, চাহিদা মাফিক গাড়ি তৈরির উৎপাদন পরিকাঠামো রয়েছে। ফলে বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি তৈরি করছে তারা। যেমন ফোর্ডের এক মুখপাত্র জানান, এখন ৮০-৮৫ শতাংশই ডিজেল গাড়ি তৈরি হচ্ছে। টাটা মোটরস -এর মুখপাত্র জানান, তাঁদের পরিকাঠামোও নমনীয়। ডিজেল গাড়িই এখন বেশি তৈরি হচ্ছে। ডিলারদের মজুত ভাণ্ডার যাতে অস্বাভাবিক ভাবে না বাড়ে, তা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। |