কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ‘ওয়েবকুটা’র নির্বাচনের জন্য যে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে ভাঙড় কলেজে গণ্ডগোলের সূত্রপাত, সেই মনোনয়ন-পর্ব মিটল মঙ্গলবার। কলেজ থেকে পাঁচ জন মনোনীত হলেন ‘সর্বসম্মত ভাবে’। কিন্তু কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামের শিবির এবং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশদু’পক্ষই বিষয়টিকে নিজেদের ‘জয়’ বলে দাবি করেছেন।
কলেজ সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে আরাবুল-শিবির পাঁচ মনোনীত শিক্ষক প্রতিনিধির মধ্যে নিজেদের তিন জনকে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু গত ২৪ এপ্রিল তা নিয়ে কলেজেরই কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা নিজেদের মধ্যে ‘উষ্মা’ প্রকাশ করায় বাধে গণ্ডগোল। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে তা নিয়ে বিবাদের জেরেই আরাবুল এক শিক্ষিকাকে জগ ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব সম্প্রতি এ ব্যাপারে আরাবুলকে ‘শো-কজ’ও করেছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, ২৪ এপ্রিলই আরাবুল তাঁদের বলেছিলেন, ‘ওয়েবকুটা’য় তাঁর মনোনীত পাঁচ প্রার্থীকে সমর্থন করতে হবে। এ দিন ওয়েবকুটার ২ পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে এক সভায় আরাবুল-পক্ষ তিন জনের নাম প্রস্তাব করে। আপত্তি ওঠেনি। কলেজের কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার বক্তব্য, “পাঁচ জনের বদলে ৩ জন জিতলেন সভাপতির তরফে। এটা আমাদের জয়।” তাঁদের দাবি, গরমের ছুটি চলছে বলে তাঁদের কয়েকজন অনুপস্থিত ছিলেন। সবাই হাজির থাকলে ‘অন্য রকম’ ফলের সম্ভাবনা ছিল বলেও দাবি করেছেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আরাবুল মন্তব্য করেননি। তাঁর শিবিরের বক্তব্য, কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতির মনোনীতেরা ওয়েবকুটার নির্বাচনে কলেজ থেকে মনোনীতদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে পরিষ্কার, ‘জয়ী’ কারা। |