দিনেদুপুরে ধর্মতলায় ট্যাক্সির ‘গুন্ডারাজ’ |
সরকারি ফরমান, পুলিশের হুমকি সবই আছে। তবুও ট্যাক্সিচালকদের ‘দৌরাত্ম্য’ তো কমেইনি, বরং তা ক্রমে মারমুখী চেহারা নিচ্ছে। সে কথাই ফের প্রমাণিত হল মঙ্গলবার। রাতে নয়, দিনে-দুপুরে শহরের ব্যস্ততম কেন্দ্র ধর্মতলায় এক ব্যক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে ধাক্কা মেরে কার্যত হিঁচড়ে নিয়ে ট্যাক্সি চালিয়ে চলে গেল এক ট্যাক্সিচালক। গুরুতর আহত ওই যাত্রী এখন হাসপাতালে। কলকাতার ট্যাক্সিচালকদের বিরুদ্ধে যাত্রী প্রত্যাখ্যান ও যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ বহু দিনের। পরিস্থিতি বদলাতে সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী ও ট্যাক্সিচালকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, ট্যাক্সিচালকেরা যাত্রীদের আর প্রত্যাখ্যান করবেন না। এমনকী, রাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকে চালকদের অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু হয়। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনার পরে ট্যাক্সিচালকদের উপরে পরিবহণমন্ত্রী এবং ট্যাক্সিচালকদের সংগঠনের আদৌ কোনও নিয়ন্ত্রণ আছে কি না, তা নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন দুপুরে গ্র্যান্ড হোটেলের উল্টো দিক থেকে অফিসে আসার জন্য একটি ট্যাক্সিতে উঠতে যান আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী। দরজা খুলে ব্যাগ রেখে বসার আগেই চালক যেতে অস্বীকার করে দ্রুত ট্যাক্সি চালিয়ে দেন। ট্যাক্সির ধাক্কায় পড়ে যান প্রজ্ঞানন্দবাবু। চোখের পাশে ও কাঁধে আঘাত লাগে তাঁর। ব্যাগ ট্যাক্সিতেই রয়ে যায়। তিনি নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ, ‘বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন’-এ অভিযোগ করা হলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ট্যাক্সি বা চালকের খোঁজ মেলেনি।
|
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দমদমগামী একটি এসি মেট্রোয় গোলযোগ দেখা দেয়। যাত্রীদের দাবি, ট্রেনের এসি ঠিকমতো কাজ না করায় কামরার মধ্যে দমবন্ধ লাগছিল। ট্রেনটি ধর্মতলায় এলে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে প্রথমে মোটরম্যান ও গার্ডকে ঘটনাটি জানান। যাত্রীদেরই একাংশ স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মেট্রোর মুখপাত্র প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “ট্রেনে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় ওই অবস্থা হয়। এসি ঠিকমতোই কাজ করেছে।” |