বিভিন্ন দফতরে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর জন্য নানা সময়ে হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এ বার একই কারণ দেখিয়ে মহাকরণে কৃষি দফতরে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ দিয়েছেন কৃষি অধিকর্তা সার্থক বর্মা। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কর্মসংস্কৃতি ফেরানো যাবে আশা করেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কিন্তু ওই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এক শ্রেণির কর্মীই। কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর উদ্যোগ হিসেবেই পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র সম্প্রতি কর্মীদের ঠিক সময়ে হাজিরা এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে অফিস না-ছাড়া নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। এই ব্যাপারে তাঁর দফতরের কর্মীদের উপরে নজর রাখা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার পরেই দফতরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নির্দেশিকা জারি করলেন কৃষি অধিকর্তা। কর্মী সংগঠনের তরফে এই উদ্যোগের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, “বিভাগের কর্মী নন, এমন কিছু বহিরাগতের জন্য কিছু কাল ধরে বিভাগের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। কাজের সময়ে তাঁরা যখন-তখন সমাবেশ করছেন। এতে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। এটা কাম্য নয়।”
শাসক দল তৃণমূলের সমর্থক কর্মী সংগঠন স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনই এই নির্দেশিকার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এই নিয়ে কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন ওই সংগঠনের সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, মৃত সরকারি কর্মীদের পরিবারের লোকেরাও তো প্রায়ই কাজের খবর নিতে দফতরে আসেন। বিভিন্ন জেলা থেকেও আসেন দফতরের কিছু কর্মী। নিষেধাজ্ঞার ফলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন পার্থবাবুরা। প্রশাসনের তরফে সার্বিক সিদ্ধান্ত না-নিয়ে শুধু মহাকরণের একটি দফতরের ক্ষেত্রে এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হল কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে কর্মিমহলে। কৃষি অধিকর্তা অবশ্য বলছেন, “কাজের পরিবেশ উন্নত করতেই এই সিদ্ধান্ত।” |