|
কৃত্তিকা ব্রহ্মচারী। |
মাধ্যমিকে রাজ্যের মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে বর্ধমান পৌর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী কৃত্তিকা ব্রহ্মচারী। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় সে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৯। বাংলায় ৯০, ইংরেজি, ইতিহাস ও ভূগোলে ৯৪, গণিতে ৯৮, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৭ পেয়েছে সে।
পঞ্চম শ্রেণি থেকে ওই স্কুলে কৃত্তিকা প্রতিটি ক্লাসেই প্রথম নয়তো দ্বিতীয় হত কৃত্তিকা। তার কথায়, “সারা রাত জেগে লেখাপড়া করি। কিন্তু সকালে ৯টার আগে কখনও ঘুম থেকে উঠি না। চুটিয়ে সিনেমাও দেখি।” দু’জন গৃহশিক্ষক ছিল কৃত্তিকার। রোজ ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। বড় হয়ে কৃষি বিজ্ঞানী হতে চায় সে। বর্ধমানের কৃষির উন্নতির জন্য গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানায় কৃত্তিকা। তার মা চন্দনা রায়ের কথায়, “কাটোয়া থেকে শুধু মেয়ের লেখাপড়ার জন্যই বর্ধমানে চলে এসেছিলাম। ও ভাল রেজাল্ট করবে জানতাম। তবে এতটা ভাল করবে বলে আশা করিনি।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না সিংহ বলেন, “ কৃত্তিকা গানেও কৃতী। তবে ওর সবথেকে বড় সম্পদ হল বিনয়।”
|
|
শৌভিক মণ্ডল। |
মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র শৌভিক মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৯। বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৪, অঙ্কে ৯৯, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৯, জীবনবিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাস ৯৪ ও ভূগোলে ৯৩ পেয়েছে সে। দিনে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে সাফল্যের খবর পায় সে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া তার পাড়া জুড়েও।
আসানসোলেই উচ্চমাধ্যমিক পড়তে চায় শৌভিক। লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। পড়ার বইয়ের সঙ্গে প্রচুর রেফারেন্স বইও পড়ে। পড়াশুনার পাশাপাশি রহস্য উপন্যাস পড়তে ভালবাসে শৌভিক। তবে বিশেষ কোনও লেখকের বই নয়। দু’-চার পাতা উল্টে পড়ার পরে ভাল লাগলেই পড়তে শুরু করে। ভালবাসে গান শুনতেও। হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি সব রকমের গানই শোনে শৌভিক। বাবা চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও মা রুমাদেবী জানান, ছেলের পড়াশোনার বিষয়ে তাঁরা কোনও মতামত চাপিয়ে দেন না। ভাল করে পড়তে হবে বার বার শুধু এটাই শুধু মনে করিয়ে দেন। শৌভিকের কথায়, “এই সাফল্য স্কুলের বন্ধু, শিক্ষক আর মা-বাবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে চাই।”
|
|
সৌমি বসু। |
মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে কাটোয়া শহরের দূর্গাদাসী চৌধুরানি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় (ডিডিসি)-র ছাত্রী সৌমি বসু। প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৭। বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ৯৮, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৮, ভূগোল ও ইতিহাসে যথাক্রমে ৯৮ ও ৯১ নম্বর পেয়েছে সে। শহরের সুবোধ স্মৃতি রোডের বাসিন্দা এক শিক্ষক-দম্পতির একমাত্র মেয়ে সৌমি।
সৌমি জানায়, দিনে নিয়ম করে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। গৃহশিক্ষক ছিল মোট সাত জন। বাকি সময় কাটে বই পড়েই। সৌমি বলে, “শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, ব্যোমকেশ পড়তে ভাল লাগে। তবে সবথেকে প্রিয় হ্যারি পটার।” ভবিষ্যতে অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করতে চায় সৌমি। ওই কৃতী ছাত্রীর মা কেয়াদেবী বলেন, “পড়াশোনার সঙ্গে গানের প্রতিও আগ্রহ রয়েছে ওর।” বাবা বাবুল বসুর কথায়, “ ৯২ শতাংশ নম্বর আশা করেছিলাম। আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে।” সৌমির কথায়, “স্কুলের দিদিমণি, গৃহশিক্ষক ও বাবা-মা আমার পড়াশোনার পিছনে অনেকটা সময় দিয়েছিলেন। ওঁদের সকলের চেষ্টায় এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে।” |