অন্তর্বর্তী আদেশ আজ বাড়তি নম্বরটা কি মানের
সঙ্গে আপস নয়, প্রশ্ন কোর্টেরই
চ্চতর শিক্ষার সুযোগ দিতে দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকার হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাড়তি নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় আইনেই আছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হল। তার পরেই বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন, কোনও যুক্তিতেই কি উচ্চশিক্ষার মানের সঙ্গে সমঝোতা করা যেতে পারে?
মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরে ভর্তি পরীক্ষায় দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকার সরকারি চিকিৎসকদের বাড়তি ৩০ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। মঙ্গলবার সেই মামলাতেই হাইকোর্ট বলে, ফাউ নম্বরের জোরে কোনও সরকারি চিকিৎসক ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ নম্বর পেয়েও এমডি পাঠ্যক্রমে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু পরীক্ষায় ১০০ নম্বর পেয়েও অন্য চিকিৎসক ভর্তি হতে পারবেন না। তাঁর ‘অপরাধ’, তিনি সরকার নির্ধারিত ‘দুর্গম ও উপদ্রুত’ এলাকার হাসপাতালে কাজ করেন না। এটা তো উচ্চশিক্ষার মানের সঙ্গে আপসেরই নামান্তর। সেটা কি উচিত হবে? এমডি, এমএসে ভর্তি নিয়ে মামলার দীর্ঘ শুনানির পরে বিচারপতি প্রতাপ রায়ের কাছে এটাই মূল প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
বিচারপতি প্রতাপ রায় ও বিচারপতি সুবল বৈদ্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়ে দেয়, আজ, বুধবার তারা অন্তর্বর্তী আদেশ দেবে। যাঁরা সরকারি চিকিৎসক নন, ইতিমধ্যেই তাঁরা এমডি এবং এমএস পাঠ্যক্রমে ক্লাস শুরু করে দিয়েছেন। ৩১ মে ওই পাঠ্যক্রমে ভর্তির শেষ দিন। তার আগেই কাউন্সেলিং শেষ করে সরকারি চিকিৎসকদের ভর্তি হতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং স্থগিত আছে। মেধা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বাড়তি নম্বরের সমস্যাই সরকারি চিকিৎসকদের ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় মেধার সঙ্গে আপস করা যায় না বলে মত প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র এ দিন আদালতে বলেন, দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকার চিকিৎসকদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ার আইনটি কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই। বিচারপতি তখন বলেন, কেন্দ্রীয় আইন যদি অসাংবিধানিক হয়, তা হলে তার বিচার করা যাবে না, এমন তো নয়। বিচারপতি প্রশ্ন, নতুন সরকার তো সরকারি চিকিৎসকদের জন্য একটি বদলি নীতি তৈরি করেছে। সেই নীতি অনুযায়ী দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকা চিহ্নিত হল না কেন? আইনজীবী রাজর্ষি হালদার জানান, উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা ‘এ জোন’-এ পড়ছে। এই জোনটি দুর্গম বলে চিহ্নিত। কেএমডিএ এলাকার বাইরের সব হাসপাতাল ‘বি জোন’। কেএমডিএ এলাকার হাসপাতাল হল ‘সি জোন’। প্রত্যেক চিকিৎসককে পর্যায়ক্রমে এই তিনটি জোনেই কাজ করতে হয়। অনিন্দ্যবাবু বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফল অনুযায়ী মেধা-তালিকা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং করে ভর্তি শেষ করা হোক। পরে মামলার ফল অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। তখনই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বুধবার অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়া হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.