জুয়ার ঠেক থেকে কয়েক জনকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে আক্রান্ত হলেন ওসি-সহ ৬ পুলিশকর্মী। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়িও। সোমবার সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইঁদপুর থানার আটবাইচণ্ডী গ্রামে। পুলিশ জানায়, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকুড়া পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “ওই গ্রামে জুয়ার আসর বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ইঁদপুর থানার ওসি-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী। একটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। আরও কয়েকজনকে খোঁজ চলছে।” তিনি জানান, মঙ্গলবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটবাইচণ্ডী গ্রামে সোমবার গাজন উপলক্ষে মেলা বসেছিল। পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল, ওই মেলার মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে জুয়ার আসর বসেছে। সেই খবর পেয়ে রাত দশটা নাগাদ ইঁদপুর থানার ওসি গৌতম শিকদার কয়েকজন পুলিশকর্মীকে নিয়ে সেখানে হানা দেন। জুয়ার আসরে পুলিশ দেখে কয়েকজন পালাতে সক্ষম হলেও কিছু সরঞ্জাম ও নগদ টাকা-সহ ৭ জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁদেরকে থানায় নিয়ে আসার পথে গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে ওসি-সহ পুলিশকর্মীদের মারধর করেন, গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে আরও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানায়, গ্রাম থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ইঁদপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসা করানো হয়।
এ দিন ওই গ্রাম ছিল কার্যত পুরুষ শূণ্য গ্রামবাসীরা অবশ্য ঘটনার জন্য দায় চাপিয়েছেন পুলিশের ঘাড়েই। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী তথা গাজন কমিটির কর্মকর্তার দাবি, “মেলার বাইরে কয়েকজন জুয়া খেলছিল ঠিকই, তবে আমরা জুয়ার আসর বসায়নি। আমাদের নিষেধ কেউ শোনেনি। কিন্তু পুলিশ মেলায় ঢুকে অন্যায় ভাবে কয়েকজনকে ধরলে মেলায় উপস্থিত জনতা তার প্রতিবাদ করেন। তখন পুলিশই প্রথম লাঠি উঁচিয়ে মারধর করে করায় গন্ডগোল হয়েছে।” |