|
|
|
|
একলব্য স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে অনুষ্ঠিত হল দক্ষিণবঙ্গের একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়-সমূহের ‘কর্মচারী (শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী) সমিতি’র চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলন। ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত ওই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোও। সম্মেলনে দক্ষিণবঙ্গের ৪টি স্কুলের মোট ৬০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী যোগ দেন। অন্য রাজ্যের একলব্য স্কুলগুলির তুলনায় এ রাজ্যের একলব্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা অনেক কম বেতন পান বলে সম্মেলনে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, এ রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এখনও স্থায়ীকরণ করা হয়নি, সকলেরই নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক বলেও অভিযোগ। কর্মচারী সমিতি-র তরফে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, নৃপেণ টুডু, সৌরভ প্রতিহার, চম্পা রায়মণ্ডলেরা একযোগে বলেন, “বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও আগের রাজ্য সরকার আমাদের কোনও দাবিই পূরণ করেনি। বর্তমান সরকারের বর্ষপূর্তি হতে চলেছে, অথচ আমরা সেই তিমিরেই রয়েছি।” সুব্রতবাবু, নৃপেণবাবুদের বক্তব্য, “আবাসিক স্কুলে কার্যত সর্বক্ষণের জন্যই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা পাঠদান ও পরিষেবা দানে নিযুক্ত থাকেন। অথচ সেই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাই উপেক্ষিত। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর পরিচালিত স্কুল হওয়ায় শিক্ষা দফতরও একলব্যের বিষয়ে সমান উদাসীন।” সম্মেলনের অতিথি বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো অবশ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের দাবিগুলি নিয়ে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন।
নব্বইয়ের দশকের শেষ নাগাদ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দেশব্যাপী একলব্য স্কুলগুলি চালু হয়। তবে এ রাজ্যে চালু হয় ২০০২ সালে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মাধ্যমে স্কুলগুলি পরিচালিত হয়। বর্তমানে সারা দেশে এ ধরনের মোট ৯০টি স্কুল রয়েছে। এ রাজ্যের ৫টি একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরই। দক্ষিণবঙ্গের একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪টি (পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, পুরুলিয়ার মানবাজার ও বর্ধমানের কাঁকসা)। উত্তরবঙ্গের স্কুলটি রয়েছে শিলিগুড়ির নাগরাকাটায়। কেবলমাত্র আদিবাসী ছেলেমেয়েরাই ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরখরচায় একলব্য আবাসিক স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনার সুযোগ পায়। পড়ুয়াদের থাকা-খাওয়া, বইখাতা ও পোশাক--যাবতীয় খরচই বহন করে সরকার। |
|
|
|
|
|