|
|
|
|
অরবিন্দনগর নিয়ে সর্বদল |
মাঠের দখল-মুক্তির পক্ষেই মত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অরবিন্দনগরের খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার পক্ষেই মত দিলেন অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, মাঠ মাঠের অবস্থাতেই ফিরিয়ে দিতে হবে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসকের (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) দফতরে সর্বদল বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি, সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী প্রমুখ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মাঠ দখল করে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ক’জনের জমি-জায়গা নেই, তা খতিয়ে দেখা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরসভা ও ভূমি দফতর যৌথ ভাবে খতিয়ে দেখবে। প্রকৃত ভূমিহীনদের জন্য প্রয়োজনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হতে পারে। জবরদখলকারীদের নোটিস দেওয়ার পর উচ্ছেদ-প্রক্রিয়া এগোবে।
বৈঠক শেষে সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক বলেন, “আমরা আগেও যা বলেছি, এখনও তাই বলছি। শহরে বড় মাঠের সংখ্যা বেশি নয়। তাই আমরা চাই মাঠ মাঠের অবস্থাতেই থাক।” পাশপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘যাঁরা প্রকৃত গরিব, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হোক।” মঙ্গলবারের বৈঠকে একমাত্র ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিনিধিই ওই মাঠ দখল করে অস্থায়ী বাড়ি করে থাকা সবারই পুনর্বাসনের দাবি জানান। এ দিকে, মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে ইতিমধ্যেই শহরে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের ১৯ তারিখ সকাল ৮টা থেকে মেদিনীপুর শহরে ৬ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছেন এলাকার মানুষ। বন্ধের সমর্থনে শহরে প্রচারও চলছে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক কার্তিক ধর বলেন, “জেলা প্রশাসন বন্ধ কর্মসূচি স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু বন্ধ স্থগিত রাখা হচ্ছে না। আমরা শহরবাসীর কাছেও এই কর্মসূচি সফল করারই আবেদন রাখছি।” তাঁর অভিযোগ, “গত ৩ বছরে আমরা ৮ বার মৌখিক প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। ৩ বার লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু, কোনও বারই মাঠ দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি পুলিশ-প্রশাসন।”
মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরের খেলার মাঠ গত ৩ বছর ধরেই বেআইনি ভাবে দখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে মাঠের একটা বড় অংশই দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানে বসতি গড়ে উঠেছে। জবরদখল উচ্ছেদের দাবিতে আগেও আন্দোলন হয়েছে। ফের নতুন করে সেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। অবস্থা দেখে মঙ্গলবার সর্বদল-বৈঠক ডাকেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অরিন্দম দত্ত। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত-র নির্দেশেই এই বৈঠক। বৈঠক শেষে মেদিনীপুরের বিধায়ক বলেন, “মাঠ দখলমুক্ত করতে এ বার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে।” জানা গিয়েছে, প্রকৃত ভূমিহীন কেউ আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার পর দখল-উচ্ছেদ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে জবরদখলকারীদের নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি মাইক প্রচার করেও তাঁদের সরকারি জায়গা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। নির্দেশ অমান্য হলে তখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|