|
|
|
|
ছাত্র খুনের তদন্ত |
চুম্বক ফেলে পুকুরে তল্লাশি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রতিদিনই দফায় দফায় এলাকায় গিয়ে ঘটনাস্থল ও তার আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলছে। কিন্তু, মেদিনীপুর শহরে ছাত্র-খুনের ঘটনার কিনারা হচ্ছে না। ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। যে বাড়িতে খুনের ঘটনা ঘটেছে, তার পিছনের দিকে একটি পুকুর রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে চুম্বক ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনে ব্যবহৃত ছুরি বা চপার জাতীয় কিছু জলে পড়ে থাকতে পারে, সেই অনুমান থেকেই এই তল্লাশি। তবে তল্লাশি শেষে কিছুই মেলেনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরির অবশ্য আশ্বাস, “এ ক্ষেত্রে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”
গত শুক্রবার মেদিনীপুরের বরিশাল কলোনিতে ছাত্র-খুনের ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির মধ্যেই খুন হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অভিষেক নাগ। খুনি বাড়ির পিছন দিয়ে পালায় বলেই পুলিশের অনুমান। পুলিশ-কুকুর এনে তদন্ত হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থলে এসেছিল ফরেন্সিক দল। দুই সদস্যের ওই দলটি অভিষেকের ঘরের মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে। ফিঙ্গার-প্রিন্ট নেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের কেউ প্রতিবেশী, কেউ পরিবারেরই লোক, কেউ বা ওই ছাত্রের বন্ধু-পরিচিত। |
|
ছাত্র খুনের তদন্তে তল্লাশি পুকুরে। |
ঠিক কী কারণে এই খুন, অভিষেক আগে থেকে এমন কোনও ঘটনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল কি না, এ সব জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এত সবের পরেও নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযুক্তের নাম এখনও সামনে আসেনি। প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণও জোগাড় হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএসপি (ডি অ্যন্ড টি) রূপান্তর সেনগুপ্ত। কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন। অভিষেকের দেহে অজস্র ক্ষতচিহ্ন ছিল। ছুরি বা চপার জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করার ফলেই এই ক্ষত বলে পুলিশ মনে করছে। আগেও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজে ওই বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ দিন দুপুরে পুকুরে চুম্বক ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। খুনে ব্যবহৃত ছুরি বা চপার জাতীয় কিছু খুনি এখানে ফেলে যেতে পারে, এই অনুমানেই তল্লাশি চালানো হয়। যদিও তল্লাশি শেষে কিছুই মেলেনি। বরিশাল কলোনি শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বাড়িও বেশি দূরে নয়। এমন রহস্যজনক খুনের ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন বিধায়কও। তিনি বলেন, “আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে হবে। তেমন হলে সিআইডিকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো যেতে পারে।” তাঁর কথায়, “এমন ঘটনায় এলাকার মানুষের উদ্বেগ স্বাভাবিক।” |
|
|
|
|
|