|
|
|
|
পাঁশকুড়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল |
ফের সিপিএম প্রার্থী প্রহৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পুরভোটের প্রচার করার সময়ে সিপিএমের এক প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ঘটনাটি ঘটে।
সোমবার পাঁশকুড়ায় পুরভোটের প্রচার-পর্বের সূচনা করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলেই ভয় দেখাচ্ছে।” পর দিনই ফের দলীয় প্রার্থী প্রহৃত হওয়ায় ক্ষুব্ধ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, “উন্নয়নে ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে জনসাধারণের সমর্থন হারিয়েছে তৃণমূল। তাই সন্ত্রাস চালিয়ে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে ওরা।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুরবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের জের ওই ঘটনা। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
পাঁশকুড়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশিস ভৌমিক এ বারও নিজের ওয়ার্ডেই সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন। মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন দলীয় কর্মীকে নিয়ে ক্যানেল পাড় এলাকায় বাড়ি-বাড়ি প্রচারে যান তিনি। অভিযোগ, সকাল ১০টা নাগাদ এক দলীয় সমর্থকের বাড়িতে জল খাওয়ার সময়ে তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর উপরে চড়াও হন। প্রচার করা চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। এই নিয়ে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা বাধে তাদের। সেই সময় মুজিবর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী আশিসবাবুকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন বলে অভিযোগ। আশিসবাবুর ঘাড়ে আঘাত লাগে। তাঁর সাইকেলও কেড়ে নেওয়া হয়। গণ্ডগোলের সময় তৃণমূলের লোকেরা মেহতাব আলি নামে এক সিপিএম কর্মীকেও তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য থানার সামনে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের অবশ্য দাবি, “সিপিএমের ওই প্রার্থী কাউন্সিলার হিসাবে ওয়ার্ডের উন্নয়নে ব্যর্থ। তাই স্থানীয় মানুষ তাঁকে দেখে নানা প্রশ্ন করছিলেন। এই ঘটনাকেই রাজনৈতিক রং চাপিয়ে সিপিএম আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।” তবে তৃণমূল কর্মী মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন আশিসবাবু।
উল্লেখ্য, পাঁশকুড়া পুরভোটে মনোনয়ন দাখিলের সময় থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক মারধর-হুমকির অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র তুলে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএম প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। পরে আবুল কালাম ও আশিসবাবুর বাড়ি গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য তৃণমূলের লোকেরা হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। কংগ্রেস প্রার্থী মালেকা বিবির স্বামীকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু ভোটের আগে ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে পাঁশকুড়ায়। |
|
|
|
|
|