স্কুলে ইউনিট টেস্ট ছিল। তাই ছেলেকে তাড়াতাড়ি করে পাড়ার কলে স্নান করতে বলে এসেছিলেন মা। কলের পাশে খালে নামতে বারণও করেছিলেন। তবু মা চোখের আড়াল হতেই খালে নেমেছিল ছেলে। সাঁতার না জানায় তলিয়ে যায়। টানা আড়াই ঘণ্টা খোঁজার পরে খাল থেকে উদ্ধার হল তার মৃতদেহ।
|
তীর্থঙ্কর রায় |
মঙ্গলবার সকালে বালির শ্রীচরণ সরণির ঘটনা। মৃত ছাত্রের নাম তীর্থঙ্কর রায় (১৩) ওরফে আকাশ। পুলিশ জানায়, খালাসি পাড়ার বাসিন্দা পেশায় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর রায়ের একমাত্র ছেলে তীর্থঙ্কর। সে বালি শান্তিরাম বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বোন মৃত্তিকা জানিয়েছে, তীর্থঙ্কর বালিতে ঠাকুরমার কাছে থাকত। কিছু দিন আগে খালাসি পাড়ার বাড়িতে আসে সে। এ দিন গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে ফেরার পরে তীর্থঙ্করকে পাড়ার কলে স্নান করতে দিয়ে বাড়ি চলে আসেন মা সুচিত্রাদেবী। কিন্তু বহুক্ষণ পরেও ছেলে না ফেরায় তিনি খোঁজ করতে যান। গিয়ে দেখেন, ছেলে নেই। তখন বালি খালের খালাসি পাড়া ঘাটে গিয়ে তিনি দেখেন, সিঁড়িতে তীর্থঙ্করের জামা-প্যান্ট, চটি পড়ে আছে। এর পরেই বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রটিকে উদ্ধারের জন্য খালে নেমেছেন স্থানীয় যুবকেরা। ঘাটে দাঁড়িয়ে কাজের দেখভাল করছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। ছেলের শোকে মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছিলেন দীপঙ্করবাবু। তিনি বলেন, “ছেলেটা ঠাকুরমার কাছেই থাকত। বাড়িতে এসেই হারিয়ে গেল।”
অন্য দিকে, এ দিনই টালার একটি ঝিলে স্নান করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় এক তরুণের। মৃতের নাম মহম্মদ হসরত (১৯)। বাড়ি কাশীপুর থানা এলাকায়।
পুলিশ জানায়, রোজই প্রাতর্ভ্রমণে টালায় যেতেন হসরত। এ দিন প্রাতর্ভ্রমণ সেরে টালা ঝিলে স্নান করতে নামেন হসরত ও তাঁর সঙ্গীরা। স্নান করে বাকিরা উঠলেও হসরত উঠতে পারেননি। তখনই সঙ্গীরা খোঁজ শুরু করেন। পরে ঝিল থেকে মেলে হসরতের দেহ। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের অনুমান, জলে ডুবেই ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। |