বিষাক্ত ছাতু, মৃত বেড়ে ১১ |
বিহারের জহানাবাদে ছাতুর শরবতে বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। জহনাবাদের রাজাবাজার মহল্লায় কাল দুপুরে একটি দোকান থেকে ছাতুর শরবত কিনে খেয়েছিলেন বেশ কিছু লোক। ক্রেতাদের অধিকাংশই দিনমজুর। খাওয়ার পর থেকেই একের পর একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের পাঠানো হয় সদর হাসপাতালে। কাল সন্ধ্যা নাগাদই মারা যান চারজন। পরে রাতের দিকে গুরুতর অসুস্থ আরও সাতজনের মৃত্যু ঘটে। চারজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাঁদের পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যে মহিলার দোকান থেকে ছাতু খেয়ে এই বিপত্তি, তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তবে রাতে পুলিশ জানায়, কলাবতী দেবী নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দোকান থেকে ছাতু সংগ্রহ করে পুলিশ তার নমুনা পরীক্ষার জন্য আজ সরকারি গবেষণাগারে পাঠিয়েছে। মৃতদের পরিবারকে সরকার থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
বিহারে এখন প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। রাজ্যবাসীরা গরমে ছাতুর শরবত খেতে অভ্যস্ত। কাল জহানাবাদের রাজাবাজার মহল্লার দোকানটি থেকে শরবত খাওয়ার পর থেকেই বেশ কয়েকজন যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। তাঁদের নাক, মুখ থেকে ফেনা বেরোতে থাকে। সকলেরই বয়স ৪০ থেকে ৬০-এর মধ্যে। একের পর একজনকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। পরে বোঝা যায়, একই দোকান থেকে ছাতু খাওয়ায় সকলেই অসুস্থ হয়েছেন।
জহনাবাদের এসডিপিও নগেন্দ্র ত্রিপাঠী আজ বলেন, “ওই দোকান থেকে ছাতু সংগ্রহ করে তার নমুনা সরকারি গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।” ঘটনার কথা জানতে পেরে আজ সকালে স্থানীয় আরজেডি বিধায়ক সুরেন্দ্র যাদব হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে অসুস্থদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সরকার থেকে ইতিমধ্যেই একলক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক বালা মরুগন ডি বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তাঁদের পরিজনদের হাতে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ১০ হাজার টাকা দুর্ঘটনার জন্য এবং ১৫০০ টাকা মৃতদেহ সৎকারের জন্য দেওয়া হয়েছে।” |