|
|
|
|
পানের দোকানে মদ, আপত্তি করায় মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
এলাকার পানগুমটি থেকে মদ বিক্রি হয়, এমন অভিযোগে বেশ কিছু দিন ধরেই আশপাশের বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। গুমটির মালিক মদের পরিত্যক্ত প্যাকেট পোড়ানোয় কটূ গন্ধ ছড়াচ্ছে, এমন অভিযোগ জানিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় এক প্রবীণ দম্পতি। গুমটির মালিক তাঁদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার এমএএমসি কলোনির মামরা বাজারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই পানগুমটিতে মদ বিক্রি করেন মালিক শ্যামা গুপ্ত ও সঞ্জয় গুপ্ত। বারবার প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার গুমটির মধ্যে রাখা মদের পুরনো প্যাকেট, কাগজপত্র পাশের ফাঁকা জায়গায় পোড়াতে শুরু করেন গুমটির মালিক। পাশেই থাকেন বৃদ্ধ দ্বিজেন্দ্র কর্মকার ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্নাদেবী। কাগজ পোড়ানোর গন্ধ পেয়ে তাঁরা গুমটি মালিকদের বারণ করেন। বচসা শুরু হয়। হঠাৎ গুমটি মালিকেরা ওই দম্পতির উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মাথায় চোট পান তাঁরা। আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে এলে অভিযুক্ত দু’জন চম্পট দেয়। ওই দম্পতিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এলাকার একটি পরিত্যক্ত আবাসনে রীতিমতো মদের গুদাম গড়ে উঠেছে। পুলিশ মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায়। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি খুব একটা হেরফের হয় না। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল গুছাইত, পূর্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়দের অভিযোগ, “পুলিশের মদতেই পান গুমটি থেকে মদ বিক্রি হয়।” পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দ্রুত অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বাস পুলিশের। |
|
|
|
|
|