|
|
|
|
পঞ্চায়েতে লড়বেন বংশীবদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি শুরু করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির সভাপতি বংশীবদন বর্মন। ওই পরিকল্পনা মাথায় রেখে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘর ঘোছানোর কাজে নেমেছেন তিনি। ইতিমধ্যে সিতাই ও মেখলিগঞ্জ ছাড়া জেলার অন্য দশটি ব্লকের কমিটি গড়ার কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে ওই সব ব্লকে অঞ্চল ও বুথ কমিটি গড়া হবে। ব্লক কমিটি তৈরি হয়েছে এমন ব্লকগুলির কয়েকটিতে অবশ্য অঞ্চল কমিটি গড়ার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ধরে নিয়ে জুলাইয়ের মধ্যে গোটা জেলায় ত্রিস্তরীয় সাংগঠনিক কমিটি গড়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন জিসিপিপি নেতৃত্ব। তারপরেই এলাকা ভিত্তিক বৈঠক, সভা-সহ অন্যান্য কর্মসূচি শুরু করা হবে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির সভাপতি বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি ছাড়া কোনও দাবিরই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কোচবিহারের বাসিন্দাদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরা তাই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করছি। ঠিকঠাক ভাবে এগোতে পারলে আমাদের কতটা জনসমর্থন নিয়ে রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।” এর আগে ২০০৯ সালে জেলে থাকার সময়ে কোচবিহার লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রাথী হিসাবে ভোটে লড়েন বংশীবদনবাবু। নির্বাচনে ৩৭ হাজার ভোট পেলেও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। কয়েক মাস আগে নয়া রাজ্য সরকার গঠনের পর জামিনে ছাড়া পান বংশীবদনবাবু ও তাঁর অনুগামীরা। জেলে যাওয়ার সময়ে তিনি যে অবিভক্ত গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ছিলেন তা ভেঙে একাধিক সংগঠন হওয়া, পুরানো রাজনৈতিক সহকর্মীদের সংগঠন জিসিডিপি নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে ফের নতুন করে দল গড়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এবারে পরিকল্পনা মাফিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত বেশি সংখ্যক আসন জেতার মাধ্যমে বিরোধী সংগঠনগুলিকে বার্তা দিতে চাইছেন তিনি। জিসিপিপির মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, “২০০৯ সালের লোকসভার পরিস্থিতির সঙ্গে আগামী পঞ্চায়েতের পরিস্থিতির ফারাক আছে। সেবার বংশীবদনবাবু জেলের ভেতরে থেকে লড়াই করেছিলেন। এবার তিনি গ্রামে যাচ্ছেন। ভাল সাড়া মিলছে। এতেই পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদ দখল করার সম্ভবনা দেখছি।” জিসিপিপির অনুমান, এবারে ডান-বাম কোনও দলের কথাই মানুষ বিশ্বাস করবেন না। তাঁরাই কোচবিহারের বাসিন্দাদের আনুকূল্য পাবেন। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও কোনও দলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নিয়ে জিসিপিপি নেতৃত্ব মুখ খুলতে চাননি। বংশীবাবুর কথায়, “জোটের ব্যাপারে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি নিরঞ্জন দত্ত বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কেউ লড়তে পারেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন মানুষের মন কেড়েছে। আগামী পঞ্চায়েতেও মানুষ তাঁর ওপরেই আস্থা রাখবেন। তা ছাড়া নতুন সরকার উদ্যোগী না-হলে ওঁরা ছাড়া পেতেন কিনা সন্দেহ।” সিতাইয়ের কংগ্রেস বিধায়ক কেশব রায়ের মতে, মানুষ কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই দেখতে চান। তাই আগেও ওই দাবিদাররা ভোটে সাড়া পাননি। পঞ্চায়েতেও পাবেন না। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “পঞ্চায়েতে ৫১ শতাংশ ভোট পাওয়া আমাদের লক্ষ্য। ফলে কোন দল লড়ছে তা নিয়ে ভাবতে চাইছি না।” সিপিএম নেতা অনন্ত রায়ও মনে করেন, জিসিপিপি পঞ্চায়েতে লড়লেও বামফ্রন্টের ক্ষতি হবে না। |
|
|
|
|
|