|
|
|
|
|
চিকিৎসক নেই, বন্ধ পরিষেবা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
|
দীর্ঘ ৮ মাস থেকে কোনও চিকিৎসক নেই সামশেরগঞ্জের নিমতিতা বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত অরঙ্গাবাদ লাগোয়া ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দৈনিক প্রায় ৪০০ বিড়ি শ্রমিক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে থাকেন। সে জন্য দরকার কেবল তাঁদের পরিচয়পত্র দেখানো। ওষুধপত্রও এখানে দেওয়া হয় বিনামূল্যে।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কার্যত তা অচল থাকায় বহু বিড়ি শ্রমিক পরিবার সমস্যায় পড়েছেন। জঙ্গিপুর মহকুমা বিড়ি শ্রমিক সংগঠন এবং আইএনটিইউসি’র রাজ্য কমিটির সদস্য বাদশার আলি বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা কী, তা বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের রাজ্য কমিশনারকে জানানো হয়েছে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে তিন দিন করে এক চিকিৎসক আসতেন। কিন্তু প্রায় ৮ মাস কোনও চিকিৎসক আসছেন না।” অসুস্থ বিড়ি শ্রমিকদের নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন থাকে। সেক্ষেত্রে ওই চিকিৎসালয় বন্ধ থাকায় অনেক রোগীই নিয়মিত ওষুধ ও ডাক্তারি পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই নিয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে।
যে জায়গায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সেই জগতাই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের সাধনা সিংহ বলেন, “১৯৭৬ সাল থেকে নিমতিতায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করেন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ। সপ্তাহে তিন দিন চিকিৎসক সহ একটি মেডিক্যাল দলই আসত। গত জুনে এক নতুন চিকিৎসককে এখানে পাঠানো হয়। তিনি প্রথম দিকে কয়েক বার আসার পরে আর আসেননি।”
তিনি বলেন, “রাজ্যের বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে।” পাশের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের ভারতী হালদার বলেন, “চিকিৎসক না আসায় বিড়ি শ্রমিকদের চিকিৎসা সহ সমস্ত কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে নিমতিতায়। অথচ এলাকায় প্রায় দু’লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে হয়রান হচ্ছেন তাঁরা।”
রাজ্য বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের এক কর্তা জানান, যে চিকিৎসককে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি কেন সেখানে যাচ্ছেন না, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|