|
|
|
|
ঝড়ের দাপটে চার কোটির ক্ষতি শস্যে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ময়নাগুড়ি ব্লকে প্রায় ৪ কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয়েছে। উড়ে গিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কাঁচা বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চারটি স্কুল। স্থানীয় বিডিও সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, “এখনও পুরো রিপোর্ট দফতরে পৌছয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ব্লকের ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়েই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। শস্যের ক্ষয়ক্ষতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। প্রতিটি এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।” সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্লকের বার্নিশ, দোমহনি-১, ময়নাগুড়ি এবং খাগরাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বার্নিশ পঞ্চায়েতে ১২টি সংসদের মধ্যে মরিচবাড়ি, উল্লাডাবরি, দক্ষিণ উল্লাডাবরি, বার্নিশ, পুঁটিমারি, ডাঙাপাড়া এলাকা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। |
|
ঝড়ে ঝরে পড়া গাছের ডাল কুড়িয়ে বাড়ির পথে মহিলারা।
জলপাইগুড়িতে ছবিটি তুলেছেন রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অতীন্দ্রনাথ রায় জানান, এলাকায় ৫০০ কাঁচা বাড়ি নষ্ট হয়েছে। দোমহনি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩০০ কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জিতেন সরকার বলেন, “১৫০ পরিবার আশ্রয়হীন হয়েছে।” এ দিকে ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০০ হেক্টর জমির সবজি, সাড়ে ৫০০ হেক্টর জমির পাট এবং ৪০ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। প্রচুর পুরনো গাছ ভেঙেছে। গাছে চাপা পড়ে নষ্ট হয়েছে শহর এলাকার প্রচুর দোকান। তার ছিড়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ ও টেলিফোন পরিষেবা। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। মৌয়ামারি এলাকায় গাছের ভাঙা ডালে চাপা পড়ে ট্রেকার। ওই ঘটনায় কেউ জখম হয়নি। গাছ ভেঙে পড়ে ময়নাগুড়ি হাসপাতালের আউটডোরের উপরেও। গাছ উপড়ে ময়নাগুড়ি হাই স্কুল সহ প্রচুর বাড়ির দেওয়াল ভেঙেছে। বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগের ময়নাগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সোনম জামসু ডুকপা বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েছে।” |
|
|
|
|
|