|
|
|
|
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রচুর কাঁচাবাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় ১৫ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার জেলা প্রশাসনের রিপোর্টে ওই তথ্য উঠে এসেছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “ব্লক থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় প্রায় ১৫ হাজার বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট রাজ্যকে পাঠানো হবে। কৃষি দফতরের রিপোর্ট এখনও হাতে এসে পৌঁছয়নি। ত্রাণ সরবরাহের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাদের বাড়ি ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের পরেই জেলার বিভিন্ন ব্লককে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসেব দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির ছবিও জমা দিতে বলা হয়। শনিবার রাতের মধ্যেই ব্লক থেকে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত যে রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে জমা পড়েছে, তাতে বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২০ কোটি টাকা। কৃষি দফতরের রিপোর্ট, চা বাগান এলাকাগুলি এবং জঙ্গলের ক্ষতির পরিমাণ মিলিয়ে জেলার মোট ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়ে ডুয়ার্সের বিভিন্ন বনাঞ্চলে প্রায় দুশো গাছ উপরে পড়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ শাল গাছ। বেশ কিছু গাছ চুরি হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু বন বাংলোতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গরুমারা বন বাংলোতে ঢোকার রাস্তা ঝড়ে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধূপঝোড়াতে বন দফতরের কটেজেও ক্ষতি হয়েছেয় বৈকুন্ঠপুর বন বাংলোয় বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যহত হয়ে রয়েছে। জলপাইগুড়ি বন দফতরের বনপাল মনীন্দ্রচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “ঝড়ে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেয় চালসা রেঞ্জ এবং বৈকুন্ঠপুরে প্রচুর গাছ উপরে পড়েছে।” কৃষি দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, মূলত পাট এবং ভুট্টারই বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দফতর যে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করেছে তাতে জেলায় কৃষি ফসলের ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। চার হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে পাট নষ্ট হয়েছে। ভুট্টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আড়াই হাজার হেক্টর পরিমাণ জমিতে। ডুয়ার্সের মালবাজার, নাগরাকাটা, কালচিনি এলাকার অনেক চা বাগানেও ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে। চা মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের থেকে প্রশাসনকে প্রাথমিক ভাবে যা জানানো হয়েছে, তাতে শুধু চা বাগানেই ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটির বেশি। |
|
|
|
|
|