|
|
|
|
বিদ্যুৎ বিপর্যয়, জল-সমস্যা শিলিগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ঝড়ে হাইটেনশন পোল উল্টে, তার ছিঁড়ে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তার জেরে শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছিল গত শুক্রবার থেকে। দুই দিন পর রবিবার সকালেও জল সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পুর কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, এ দিন বিকেলে স্বাভাবিক নিয়মেই পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হয়েছে। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, “ঝড়ে ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে বিপত্তি ঘটেছিল। বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাশাপাশি পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের কর্মীদের তৎপরতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক করে রবিবার সকালেই সমস্ত ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হয়েছে। তাতে জল সরবরাহের সময়ের কিছুটা হেরফের ঘটেছে। এ দিন বিকেলে স্বাভাবিক নিয়মেই জল সরবরাহ হয়েছে।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, ঝড়ের দাপটে ‘হাইটেনশন পোল’ উল্টে, তার ছিঁড়ে ফুলবাড়ি এলাকায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তার জেরে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল তোলা এবং তা পরিশ্রুত করার কাজ থমকে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল সরবরাহের কাজ। নিয়ম মতো সকালে জল সরবরাহের জন্য আগের দিন রাতে পরিশ্রুত জল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ঝঙ্কার মোড়ের জলাধারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন ওভারহেড জলাধার এবং পরেশনগরের ভূগর্ভস্থ জলাধারে যায়। এর পর রাস্তার কলগুলিতে এবং বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ হয়ে থাকে। ঝড়ের আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা পর্যন্ত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরের দিন সকালে সরবরাহের জন্য জল অনেকটাই পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হলেও শুক্রবার সকালে ওই জলই সরবরাহ করা হয়। যদিও তা পর্যাপ্ত ছিল না। অল্প সময়ের জন্য জল সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিল। তবে ওই দিন বিকাল থেকে শনিবার সারা দিন পানীয় জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল পুর এলাকায়। তাতে বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক না হওয়ায় রবিবার সকালেও পানীয় জল সরবরাহ সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, পুরসভা এক যোগে রাতভর কাজ করে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক করে। রাতেই পাম্প চালিয়ে জল তুলে জলাধারগুলিতে পাঠানো হয়। সকালে পুরসভায় ১-৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত জল দেওয়া হয়। ৩৬ নম্বর থেকে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে সকাল ৬ টা থেকে ২ ঘন্টা জল দেওয়ার কথা থাকলেও এ দিন বেলা ১০ টা থেকে ২ ঘন্টা জল দেওয়া হয়েছে। বিকেলে অবশ্য নিয়ম মতোই জল দেওয়া হয় বলে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। যদিও কিছু এলাকায় জল সরবরাহের সময় এবং জলের বেগ কম ছিল বলেই অনেকে জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|