|
|
|
|
শিক্ষক গরহাজির, স্কুলে পড়ল তালা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁতুড়ি |
স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। তিনি অনিয়মিত আসেন। তার উপর টানা ছ’দিন স্কুলে অনুপস্থিত। এই অভিযোগে স্থানীয় সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বাসিন্দারা স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে সাঁতুড়ির গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশপাহাড়ি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনা হাড়ির ক্ষোভ, “স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। তিনি নিয়মিত আসেন না। বারবার শিক্ষা দফতরকে জানানোর পরেও হাল ফেরেনি। এ বার তিনি টানা ছ’দিন স্কুলে না আসায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।” সাঁতুড়ি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপস সেন বলেন, “ওই শিক্ষক আমাদের না জানিয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছেন। তাঁকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাশপাহাড়ি প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাণিক হেমব্রমের স্কুলে না আসা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গত কয়েক দিন ধরে মাণিকবাবুর গরহাজির। শুক্রবার গ্রামের বাসিন্দারা গ্রাম শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তথা পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনাদেবীকে সে কথা জানান। এরপরেই তাঁরা স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। সাঁতুড়ি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে গিয়ে শিক্ষকের গরহাজিরার কথা জানানো হয়। প্রধানের অভিযোগ, “মাণিকবাবুর টানা অনুপস্থিতিতে স্কুলটি বন্ধ রয়েছে। পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।”
অভিভাবকদের ক্ষোভ, এখন ওই শিক্ষকের জন্যই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। প্রধান জানান, ওই শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে স্কুলে নিয়মিত মিড-ডে মিল হচ্ছে না। চাল ও টাকা পঞ্চায়েতে পড়ে রয়েছে।.তাঁর বাড়িতে ফোন করা হলে স্ত্রী প্রধানকে জানিয়েছেন, কাউকে না জানিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, “ওই স্কুলের মতো এক-শিক্ষক বিশিষ্ট স্কুলগুলির তালিকা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে পাঠিয়েছি। আশা করি ওই স্কুলে দ্রুত একজন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।” চেষ্টা করেও ফোনে মাণিকবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |
|
|
|
|
|