|
|
|
|
তৃণমূলকে কটাক্ষ কংগ্রেসের |
ভুল ধরিয়ে দিলেই আমরা জোটবিরোধী, প্রদীপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনে এসে রবিবার বসিরহাটে তৃণমূলের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জন্য দলীয় নেতা- কর্মীদেরও তৈরি থাকার নির্দেশ দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
এ দিন সভায় প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আক্রমণাত্মক ছিলেন প্রদেশ সভাপতি। তিনি বলেন, “সিপিএম চেয়েছিল বাংলাকে লাল করতে। এখন তৃণমূল সেই পথ নিয়েছে। তৃণমূল আমাদের কাছে প্রিয় এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। গত ৩৪ বছরে সিপিএম আমাদের ১১ হাজার কর্মীকে খুন করেছে। ধর্ষিতা হয়েছেন বহু মহিলা। মা-বোন, কৃষকদের কথা ভেবে সিপিএমকে সরাতে তৃণমূলের সঙ্গে যোগ দেওয়া।” তিনি আরও বলেন, “বামফ্রন্টে সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি যদি সমান সুযোগ পায়, তাহলে কেন দ্বিতীয় দল হিসাবে রাজ্যে কংগ্রেস গুরুত্ব পাবে না।” বসিরহাট-২ ব্লকের গোপালপুরে যে ব্রহ্মানন্দ হাইস্কুল মাঠে এ দিন সভা ছিল প্রদীপবাবুর, কিছুদিন আগে সেই মাঠেই এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষকদের হাতে ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’ তুলে দেওয়া সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
রবিবার বসিরহাটে প্রদীপ ভট্টচার্য। ছবি: নির্মল বসু। |
এ দিন চাষিদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’ তুলে দেওয়ার প্রশংসার পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠান বাবদ খরচ নিয়ে সমালোচনা করেন প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, “কৃষকদের জন্য কাজ করা ধন্যবাদ যোগ্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কি জানেন, ওই দিনের অনুষ্ঠানের জন্য ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। এত টাকা খরচের কি দরকার ছিল? এ সব ভুল ধরিয়ে দিলেই আমরা জোটবিরোধী।” তাঁর বক্তব্য, “জেলাকে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে সেই টাকা খরচ হল তা কংগ্রেসীদের পরিষ্কার ভাবে জানাতে হবে।” তৃণমূল যে একক শক্তিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, “পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মানুষ একটু স্বস্তি পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু যাদের সরকারে আমলাম, তারাই এখন আমাদের গুরুত্ব দিতে চাইছে না।” কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, “আমরা জোটের বিরুদ্ধে নই। আসন্ন ৬টি পুরসভায় নির্বাচনে আলোচনার মাধ্যমে জোট গঠনের কর্মীদের বলা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সর্বত্র জোট করা মানে আমাদের ২-৩টি আসন দেওয়া হচ্ছে। এ ভাবে আমাদের হেয় করার মানে কি?” দলীয় নেতা ও কর্মীদের পঞ্চয়েত নির্বাচনের জন্য তৈরি থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, “মনে রাখা প্রয়োজন আমরা কোনও আঞ্চলিক দল নই যে আমাদের সাইনবোর্ডে পরিণত করা যাবে। কোনও একটি রাজ্যের জন্য নয়, সমস্ত দেশবাসীর জন্যই ভাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।” এ দিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা, শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা সভাপতি দেবী ঘোষাল, সুখবিলাস বর্মা, অমিতাভ চক্রবর্তী। অসিত মজুমদার প্রমুখ। |
|
|
|
|
|