|
|
|
|
হালিশহরে তৃণমূল কর্মী খুন, জখম ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে। মারধরে জখম হলেন দলের আরও দু’জন। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে হালিশহরের ওই ঘটনায় নিহত দুলাল বর্মনের (৪৬) বাড়ি ওই এলাকারই খাসবাটিতে।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতী’ এবং ‘মাওবাদীরা’ এই ঘটনায় জড়িত। যদিও তৃণমূলেরই একটি সূত্রের দাবি, স্থানীয় কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে ইদানীং দলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। হামলার পিছনের কারণ তা-ও হতে পারে। একই অভিযোগ করেছে সিপিএম। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান ওয়াই সলোমন মেসিকুমার বলেন, “কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ বাণীমন্দির বাসস্টপের কাছে ঘোষপাড়া রোডের ধারে তৃণমূলের কার্যালয়ের বাইরে দু’দল যুবকের সংঘর্ষ বাধে। সেখানেই মারধরে জখম হন দুলাল বর্মন, বিশ্বজিৎ মালো ওরফে শ্যামল এবং সাধন দাস নামে তিন তৃণমূল কর্মী। পরে আরজিকর হাসপাতালে মারা যান দুলালবাবু। অন্যেরা চিকিৎসাধীন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয়ের ‘দখল’ নিয়ে দলের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোল চলছিল। এলাকা উন্নয়নের টাকা খরচকে কেন্দ্র করে হালিশহর পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের সঙ্গেও শ্যামল মালো, দুলাল বর্মনদের বিবাদ ছিল। ‘সমস্যা’ মেটাতে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় সম্প্রতি দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনাতেও বসেন। যদিও শুক্রবারও দু’পক্ষে ‘হাতাহাতি’ হয়। ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক শুভ্রাংশুবাবুর দাবি, ‘‘সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছিল। দুলালবাবুরা তার প্রতিবাদ করাতেই আক্রমণ হল। এখানে সিপিএমের সঙ্গে মাওবাদীরাও হাত মিলিয়েছে।’’ প্রায় একই বক্তব্য নিহতের দাদা তৃণমূল কর্মী সুবল বর্মনের।
পক্ষান্তরে সিপিএমের বীজপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শম্ভু চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “সিপিএম এখন এই এলাকায় জমায়েত করতে হিমসিম খায়। হালিশহরে আমাদের পার্টি অফিস বন্ধ। আর আমরা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওঁদের কর্মীকে খুন করব? এ সব বলে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আড়াল করতে পারবে না তৃণমূল।” দুলালবাবু কাজ করতেন নৈহাটির হুকুমচাঁদ জুটমিলে। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী বলেন, ‘‘উনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। তবে কারা, কেন ওঁকে মারল জানি না।’’ |
|
|
|
|
|