দুধ-ব্যবসায়ীদের আন্দোলন প্রত্যাহার |
মিষ্টি-সঙ্কট কাটল ঝাড়গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
অবশেষে ঝাড়গ্রাম শহরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ও দুধ-ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিন সপ্তাহের টানাপোড়েনের অবসান হল। শনিবার রাতে ঝাড়গ্রামের পুরপিতা তৃণমূলের প্রশান্ত রায় এবং প্রাক্তন-পুরপিতা তপন সিংহের হস্তক্ষেপে উভয় ব্যবসায়ীদের দু’টি সংগঠনের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। কিছুটা বর্ধিত হারে দুধ, ছানা ও খোয়ার দাম দিতে সম্মত হন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। এরপরই রবিবার থেকে দুধ-ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। ফলে, এ দিন থেকে ফের শহরের মিষ্টির দোকানগুলিতে দুগ্ধজাত মিষ্টি এবং দই পাওয়া যাচ্ছে। |
|
ফের শো-কেসে ছানার মিষ্টি |
দাম বাড়ানোর দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে শহরের মিষ্টি দোকানগুলিতে দুধ, ছানা ও খোয়া সরবরাহ বন্ধ করে দেন দুধ-ব্যবসায়ীরা। বিপাকে পড়েন শহরের ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৫টি মিষ্টি-দোকানের মালিকেরা। এই ক’দিন ঝাড়গ্রাম শহরের সিংহভাগ মিষ্টি-দোকান থেকে কার্যত উধাও হয়ে যায় ছানার মিষ্টি ও দুগ্ধজাত মিষ্টান্ন সামগ্রী। দুধ-ছানার অভাবে বেসন ও ময়দার মিষ্টি তৈরি করা হচ্ছিল। এই সুযোগে দুধ ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ রসগোল্লা ও দই বানিয়ে বাড়ি-বাড়ি বিক্রি করছিলেন। অবশেষে শনিবার রাতে বর্তমান পুরপিতা প্রশান্তবাবু ও প্রাক্তন পুরপিতা তপনবাবুর হস্তক্ষেপে ‘মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি’ এবং ‘দুগ্ধ ও ছানা ব্যবসায়ী সমিতি’র নেতারা আলোচনায় বসেন।
পরে প্রশান্তবাবু বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে দর-সংক্রান্ত লিখিত চুক্তিপত্র হয়েছে।” ঝাড়গ্রাম দুগ্ধ ও ছানা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ বলেন, “দরবৃদ্ধির দাবি সম্মানজনক হারে পূরণ হওয়ায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।” ঝাড়গ্রাম মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় তেওয়ারি বলেন, “সমস্যা মিটে যাওয়ায় আমরা খুশি।” |
|