|
|
|
|
বিতর্কের জেরে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি-বদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিতর্কের জেরে অবশেষে ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র-উদ্যানে বিশ্বকবির মূর্তি সরিয়ে ফের নতুন একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হল।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে শাল-সবুজে ঘেরা রবীন্দ্র-উদ্যানে আগে বিশ্বকবির একটি আবক্ষ মূর্তি ছিল। সেই জায়গায় গত বছর পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানোর উদ্যোগী হয় বামেদের (সিপিএম ও সিপিআই) দখলে থাকা ঝাড়গ্রাম পুরসভা। পুরপ্রধানের পৌরোহিত্যে বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে বছর দেড়েক আগে গঠিত ‘রবীন্দ্র সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি’ই ওই পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছর রবীন্দ্র-উদ্যানে রবীন্দ্রনাথের একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হয়। অধুনা ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা অরূপ সরকার নামে এক ভাস্কর ফাইবার গ্লাসের ওই মূর্তিটি তৈরি করেন। |
পুরনো মূর্তি |
নতুন মূর্তি |
|
কিন্তু ওই মূর্তিটি আদৌ রবীন্দ্রনাথের চেনা চেহারার মতো নয় বলে অভিযোগ তোলেন শহরের নাগরিক সমাজের একাংশ। মূর্তিটি সরানোর দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে তাঁরা লিখিত অভিযোগপত্রও দেন। শহরের কয়েকজন নাগরিক ওই মূর্তিটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেন। পুর-কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মত নেন। শেষ পর্যন্ত মূর্তিটি সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। রবিবার কবিগুরুর সার্ধশত-জন্মবর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আগের মূর্তিটি সরিয়ে রবীন্দ্র-উদ্যানে নতুন একটি মূর্তি বসানো হয়েছে। আজ, সোমবার (২৪শে বৈশাখ) সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন মূর্তিটির আবরণ উন্মোচন করবেন ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট লোককবি ভবতোষ শতপথী।
ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান সিপিএমের প্রদীপ সরকারের বক্তব্য, “গত বছর বসানো মূর্তিটি নিয়ে পুর-নাগরিকদের একটি বড় অংশ আপত্তি জানিয়েছিলেন। আমরাও কয়েকজন বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে জানতে পারি, মূর্তিটির গঠনগত কিছু ত্রুটি রয়েছে। ফলে, সেটি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” পুরপ্রধান জানান, গত বারের মতো এ বারও মূর্তি তৈরির খরচ জুগিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠন। ফাইবার গ্লাসের নতুন মূর্তিটি বানিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বিশিষ্ট ভাস্কর সুবীর পাল।
|
নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|