টুকরো খবর |
জলপ্রকল্পে বরাদ্দ
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দফতরের উদ্যোগে পানীয় জলের সমস্যা মিটতে চলেছে এগরা-২ ব্লকের পানিপারুল পঞ্চায়েত এলাকায়। এলাকাবাসীর আবেদনের ভিত্তিতে পানীয় জলের প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দফতর। চলতি মে মাসেই কাজ শুরুর কথা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, চাঁদোলদা গ্রামে সরকারি খাস জমিতে পাম্প-হাউস নির্মাণ করা হবে। বরাদ্দ অর্থে নতুন পাম্প-হাউস নির্মাণ ছাড়াও পাইপ লাইন পাতা, পুরনো পাইপ লাইন সংস্কারের কাজও হবে। পানিপারুল পঞ্চায়েতের ১৪টি গ্রামে জলের স্তর খুব নীচে থাকায় শীতের শেষ থেকে বর্ষার শুরু পর্যন্ত নলকূপগুলি প্রায়ই অকেজো হয়ে পড়ে। পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকায় জল সরবরাহের জন্য গত দু’দশক ধরে রয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের দুটি পাম্প হাউস। কিন্তু পাইপ লাইনের সমস্যা ও নানা কারণে দেবীদাসপুর, খুরুটিয়া, বৈঁচা-সহ প্রায় ৭টি গ্রামে জল সহজলভ্য ছিল না। সমস্যায় পড়তে হত প্রায় দু’হাজার পরিবারকে। পঞ্চায়েত প্রধান দীপেশ প্রধান জানান, তাঁরা এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত আবেদনপত্র জেলা পরিষদের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে পাঠান। তার পর এই প্রকল্পে উদ্যোগী হয় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর।
|
প্রতিবন্ধী-কনভেনশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
নিজস্ব চিত্র। |
জঙ্গলমহলের প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান-সহ বিভিন্ন দাবিতে ঝাড়গ্রামে এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল। রবিবার স্থানীয় দেবেন্দ্রমোহন হলে আয়োজিত ওই কনভেনশনের উদ্যোক্তা ছিল ‘নিউ প্রতিবন্ধী সঙ্ঘ’। কনভেনশনে যোগ দেন ঝাড়গ্রাম মহকুমার প্রায় হাজার খানেক প্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণী। কনভেনশনে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য জঙ্গলমহলে একাধিক আবাসিক স্কুল, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি, উপযুক্ত কর্মসংস্থানের দাবি করা হয়। এখনও যেসব প্রতিবন্ধী সরকারি-কার্ড পাননি, তাঁদের অবিলম্বে ওই কার্ড দেওয়ার দাবি ওঠে। কনভেনশনের আহ্বায়ক রমেশ সরকার বলেন, “জঙ্গলমহলের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু জঙ্গলমহলের প্রতিবন্ধীরা এখনও অবহেলিত। প্রতিবন্ধীদের সামগ্রিক মানোন্নয়ন ও তাদের কর্মসংস্থানের দাবিতেই এই কনভেনশন।” মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি-সনদ পাঠানো হবে বলেও জানান রমেশবাবু।
|
চোর সন্দেহে প্রহার, তমলুকে জখম যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে ধরে গণপিটুনি দিল উত্তেজিত জনতা। শনিবার সকালে তমলুক শহরের পায়রাটুঙ্গি এলাকায় এই ঘটনায় গুরুতর জখম শেখ রাজুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নন্দকুমারের পুয়্যাদার বাসিন্দা রাজু ও তাঁর এক সঙ্গী এ দিন পায়রাটুঙ্গি এলাকায় একটি ছাত্রাবাসের জানলার শিক খুলে ভিতরে ঢুকে এক ছাত্রের মোবাইল ফোন চুরি করেন বলে অভিযোগ। ধাওয়া করে শেখ রাজুকে ধরে ফেলেন ওই ছাত্ররা। তাঁর সঙ্গী পালিয়ে যান। রাজুকে বেদম মারধর শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, প্রতারক সন্দেহে ক’দিন আগেই নন্দকুমারের সাওড়াবেড়িয়া-জালপাই গ্রামে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে মারধর করেছিল জনতা। গুরুতর আহত ওই মহিলাও এখনও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। শনিবারের ঘটনায় ৬ জনকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে লোকজনের এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ক্রমবর্ধমান প্রবণতায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
|
স্কুল ভোট ঘিরে সংঘর্ষ পিংলায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুল নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল পিংলায়। রবিবারের এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পিংলা থানা এলাকার মুণ্ডমারি স্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। নির্বাচনে সিপিএম ও তৃণমূল দু’দলের সমর্থিত প্রার্থীরাই যোগ দেন। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল এক তরফা ভোট করতে বিভিন্ন এলাকায় লোক জড়ো করেছিল। সিপিএম সমর্থকেরা ভোট দিতে গেলে তাঁদের মারধর করে হঠিয়ে দেয় তারা। অন্য দিকে তৃণমূলের অভিযোগ, আগের মতোই ফের এলাকা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে সিপিএম। এই স্কুলের পরিচালন সমিতি দখলের জন্য আগে থেকেই অশান্তির ছক কষেছিল তারা। সেই মতো তৃণমূল সমর্থকদের উপর সিপিএমের লোকজনই প্রথমে হামলা চালায়। তৃণমূল নেতা মহম্মদ মহসিন বলেন, “তৃণমূলের উপর প্রথম হামলা চালিয়েছে সিপিএম। আমাদের ৬ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।” অভিযোগ নস্যাৎ করে সিপিএম নেত্রী তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের কর্মীরা ভোট দিতে গেলে তাঁদের মেরে ধরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমাদের ৪ জন কর্মী গুরুতর জখম।” পুলিশ জানিয়েছে, পুনরায় যাতে অশান্তি না ছড়ায় সে জন্য পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। রাত পর্যন্ত অবশ্য গণনা চলেছে। গণনা চলাকালীন উত্তেজনা থাকায় কড়া পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা ছিল।
|
টাকা নয়ছয়, জেলহাজতে স্কুল-শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সহকর্মীদের বেতন ও স্কুলের উন্নয়নের টাকা তছরুপে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে জেল হেফাজতে পাঠাল হলদিয়া মহকুমা আদালত। প্রধানশিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার হলদিয়ার দেভোগ শ্যামাচরণ মিলন বিদ্যাপীঠের ভূগোলের শিক্ষক স্বপনকুমার সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অর্থ ও ক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই এই স্কুলে প্রধানশিক্ষক মলয়কুমার মাইতির সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে পরিচালন সমিতির সম্পাদক তপনকুমার বেরা ও স্বপনবাবুর। মলয়বাবুর অভিযোগ, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৮ এপ্রিল দেভোগের বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক থেকে সহকর্মীদের বেতনের টাকা তুলে নয়ছয় করেন স্বপনবাবু।” গত ২০ এপ্রিল স্বপনবাবু ও তপনবাবুর বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মলয়বাবু। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দীপঙ্কর রায় বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। ওই স্কুলে একাধিক সমস্যা রয়েছে। স্কুলের হাল ফেরাতে কী করা যায় দেখছি।”
|
ফের অঞ্জনের জেল হেফাজত
নিজস্বসংবাদদাতা • কাঁথি |
ফের জেল হেফাজত হল ‘মুখ্যমন্ত্রীর ভাই’ পরিচয় দিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে ধৃত অঞ্জন ভট্টাচার্যের। কলকাতার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা ও হিডকোর প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক অঞ্জনকে রাজারহাট-নিউটাউন, শান্তিনিকেতনে জমির অবৈধ লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগের সূত্রে জেলা পুলিশ থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল রাজ্য সিআইডি। গত ৩ মে তাঁকে কাঁথি আদালতে হাজির করলে বিচারক জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ৫ মে, শনিবার ফের তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে কাঁথি আদালত।
|
জনসংযোগে ফুটবল
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। মহকুমার ৫টি ব্লক ও ৫টি পুরসভায় এই প্রতিযোগিতা হবে। সম্প্রতি ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতরে বিভিন্ন বিডিও, থানার ওসি ও পুর-কর্তাদের নিয়ে মহকুমাশাসক বৈঠক করেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু দাসপুর বিধানসভায় উপ-নিবার্চনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। জুন মাসে প্রতিযোগিতা শুরু হবে।”
|
ঝড়ে ক্ষতি ১৫টি গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কয়েক মিনিটের প্রবল ঝড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী খেজুরি ১ ও ২ এবং কাঁথি-২ ব্লকের ১৫টি গ্রামে প্রায় শ’পাঁচেক কাঁচাবাড়ি ভেঙেছে। টিন ও খড়ের চালা উড়ে গিয়েছে। ঘর চাপা পড়ে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। শুক্রবার কাকভোরে আচমকা প্রচণ্ড জোরে ঝড় বয়ে যায় উপকূলবর্তী এলাকার গ্রামগুলির উপর দিয়ে। খেজুরির দু’টি ব্লকের শ্যামপুর, আলিপুর, নিজকসবা, হলুদবাড়ি, কামারদা, কলাগেছিয়া, কুঞ্জপুর এবং কাঁথি-২ ব্লকের বসন্তিয়া, ঢোলমারি, পেটুয়ায় কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি পানবরোজেরও ক্ষতি হয়েছে। বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। শনিবার কাঁথির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামে যান। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে।
|
জলাধার ও অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় দু’টি পানীয় জলাধার ও একটি অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন হল রবিবার। মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বিধায়ক তহবিলের টাকায় ওই কাজ হলেও নির্বাচনী বিধির কারণে এ দিন তিনি মঞ্চে ওঠেননি। অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শোভা সাউ, জলাধারের উদ্বোধন করেন সহ-সভাপতি বিভাস কর। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেটের পাশে পঞ্চায়েত সমিতির ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে বিতর্ক বেধেছিল। তবে, দলীয় নেতৃত্বের একাংশের আপত্তিতে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই ওই পতাকা খুলে ফেলা হয়।
|
ঝাড়গ্রামে আদিবাসী উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় শালগাছের আরাধনা করেন সাঁওতাল সম্প্রদায়। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুযায়ী, শালগাছ সত্যের প্রতীক। বার্ষিক এই ধর্মীয় উৎসবের নাম ‘বাহা মাঃ মড়ে’। রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র-উদ্যানের ‘জাহের গাড়ে’ (দেবস্থানে) ৩০তম ‘বাহা মাঃ মড়ে’ পালিত হল। উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। আদিবাসী নৃত্যের তালে নিজেই মাদল বাজিয়ে সঙ্গত করেন মন্ত্রী। উৎসবের উদ্যোক্তা ঝাড়গ্রাম আদিবাসী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
|
নাটকের প্রশিক্ষণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
এলাকার ছেলেমেয়েদের নাটক ও অভিনয়ের ওপর আগ্রহ বাড়াতে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল ‘পদাতিক’। রবিবার মহিষাদলের লখ্যায় তিন দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শিবির শেষ হয়ে যায়। জেলার ২০ জন ছেলেমেয়ে যোগ দেন শিবিরে। প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন দাস প্রমুখ।
|
স্কুলে জয় তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
খেজুরি থানার হেঁড়িয়া হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে তৃণমূল। শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬টি আসনেই জিততে চলেছেন। |
|