বাড়ির ছাদ। অভিভাবক। হেডমাস্টার। ভগবান।
রবিবাসরীয় সন্ধেয় যুবভারতীতে উড়ে আসছিল এমনই শব্দগুচ্ছ। ভক্তরা নয়, সতীর্থদের মুখ থেকে। কারও কাছে তিনি এ যুগের মজিদ বাসকর, কারও কাছে তিনিই আবার জলজ্যান্ত উৎসাহদাতা। তাঁর জার্সিটা নেওয়ার জন্য ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন মোহনরাজ। এ জন্যই মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র হয়তো বললেন, “ওকে ভবিষ্যতে ক্লাবের সি ই ও করে আনার চেষ্টা করব।” মোহনবাগানের হয়ে ব্যারেটো বুট তুলে রাখার দিন তাঁর সতীর্থদের অভিব্যক্তিগুলো যে ভাবে ধরা দিল...।
ওডাফা ওকোলি: কঠিন পরিস্থিতি দলকে কী ভাবে তাতাতে হয় ব্যারেটোকে দেখে শেখা উচিত। ওর সঙ্গে খেলার প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমার ফুটবল জীবনের সোনালি অধ্যায়ে লেখা থাকবে। বন্ধু ব্যারেটোকে খুব মিস করব।
সংগ্রাম মুখোপাধায়: শিখেছি, ভাল ফুটবলার হতে গেলে ভাল মানুষও হতে হয়। ব্যারেটো ভারতীয় ফুটবলের মহাপুরুষ। মজিদ বাসকরকে দেখিনি। আমার কাছে ব্যারেটোই মজিদ।
রহিম নবি: মেজাজের উপর অদ্ভুত নিয়ন্ত্রণ ছিল ওর। একটাই আফসোস, ওর সঙ্গে মাত্র এক বছর খেলার সুযোগ পেলাম। আমার ফুটবলজীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে ওকে আটকাতে।
আনোয়ার: ফুটবলার হিসেবে তো বটেই মানুষ ব্যারেটোরও কোনও তুলনা হয় না। মোহনবাগান যেভাবে ওকে সম্মানিত করল, তাতে বাকি ফুটবলাররাও উদ্বুদ্ধ হবে।
রাকেশ মাসি: প্রথম যখন এসেছিলাম, তখন থেকেই ও বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। খারাপ সময়ে সাহস জুগিয়েছে। ব্যক্তি নয়, সমষ্টিই ওর কাছে সব।
অসীম বিশ্বাস: ব্যারেটোর সম্পর্কে যাই বলি না কেন, কম বলা হবে। ক্লাবের প্রতি নিষ্ঠা দেখার মতো।
স্নেহাশিস চক্রবর্তী: হেডমাস্টার। ভারতে খেলতে আসা বিদেশিদের মধ্যে আমি ব্যারেটোকেই এক নম্বরে রাখব। বিপদের বন্ধু।
মোহনরাজ: ব্যারেটোর বিদায়ী ম্যাচের জার্সিটা যে আমিই নেব, সেটা সাত দিন আগেই ওকে বলে রেখেছিলাম। কিন্তু ওর জার্সি নিয়ে তুমুল টানাটানি শুরু হয়ে যায়। যা দেখে ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত সাইডলাইনের ধারে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চাইনি।
হাদসন লিমা: ব্যারেটো আমার কাছে বাড়ির ছাদের মতো। আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়ে যখন সবাই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল, তখন ওকেই একমাত্র পাশে পেয়েছিলাম। ব্যারেটো আমার কাছে ভগবান।
মণীশ ভার্গব: আমি মোহনবাগান অ্যাকাডেমিতে থাকার সময় থেকেই ব্যারেটোর খেলা দেখতে মাঠে আসতাম। গত মরসুমে ওর প্রায় সব খেলাই দেখেছি। বল যেন ওর কথা শুনত!
|
চার্চিল ৩, মোহনবাগান ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আই লিগে ডেম্পো (৫৭), ইস্টবেঙ্গলের (৫১) নীচে তিন নম্বরে শেষ করল সুভাষ ভৌমিকের চার্চিল (৪৮)। পৈলান অ্যারোজকে ৩-২ হারিয়ে। সুব্রত ভট্টাচার্যের মোহনবাগান (৪৭) চার নম্বরে। তার পরে পুণে (৪৬), সালগাওকর (৪৪) এবং প্রয়াগ (৪২) |