|
|
|
|
ময়ূরী মারায় উদ্বেগ |
কেউ মারল শুয়োর, কারও হাত খালি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অযোধ্যাপাহাড় |
কারও মুখে ছিল বিজয়ের হাসি। কাঁধের লাঠিতে ঝোলানো শিকার বুনো শুয়োরের দেহ। কারও মুখ শুকনো। রাতভর অযোধ্যা পাহাড় চষেও শিকার মেলেনি।
শনিবার বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে অযোধ্যাপাহাড়ে আদিবাসীদের শিকার উৎসব ছিল। দলে দলে এ রাজ্যের আদিবাসীদের সঙ্গে পড়শি ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার লোকেরাও সেখানে যোগ দিয়েছিলেন। রবিবার পাহাড় থেকে নামার সময় শিকারিদের রাতজাগা চোখ জানাল, এ বার ভালো শিকার মেলেনি। বনশুয়োর, বন মুরগি ছাড়া বিশেষ তেমন পশু পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে শিকারী দলের নিশানায় প্রাণ খুইয়েছে একটি ময়ূরী। রবিবার প্রথা মাফিক হিলটপের মাঠে শিকারিরা জড়ো হলে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার কান্দরা এলাকার শিকারিদের হাতে একটি মৃত ময়ূরী দেখা যায়। |
|
কাঁধে মৃত ময়ূরী। ছবি: সুজিত মাহাতো। |
ওই দলের শিকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা জালের ফাঁদে ময়ূরীটি শিকার করেছেন। এই দলের সদস্য ধর্ম হাঁসদা, গণেশ হেমব্রম, হপনা মাঝিরা বলেন, “ শিকার উৎসব আমাদের কাছে পৌরুষের প্রতীক। এই উৎসবে শিকার করা যে কোনও প্রাণীকে আমরা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করি।” পুরুলিয়ার ডিএফও অজয় কুমার দাস বলেন, “বনশুয়োর শিকার করা হয়েছে বলে জানি। একটি ময়ূরী শিকারের খবরও আমাদের কাছে এসেছে। তবে এ ধরনের বিরল পশুপাখি শিকার করা উচিত নয়।” তিনি জানান, পশু হত্যা না করার জন্য আগামীবার তাঁরা আরও বেশি করে প্রচার করবেন।
বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিম মেদিনীপুরের সুকুমার দলুই, নয়ন দাসরা বলেন, “এ বার কোনও শিকারই পাইনি।” তবে বলরামপুরের ঘাটবেড়ার নাগর মাণ্ডি বলেন, “আমরা তিনটি বুনো শুয়োর শিকার করেছি।” উত্তেজিত সুভাষ টুডুর দল জানান, ঘন জঙ্গলে তাঁরা আবার হাতির পালের মুখোমুখি হয়েছিলেন। হরিণ হাতছাড়া হলেও শেষ পর্যন্ত একটি বুনো শুয়োর তাঁরা মেরেছেন। |
|
|
|
|
|