জাতীয় সড়কের ধারে ডাঁই করে রাখা ছিল ইমারতি সরঞ্জাম। সেই সরঞ্জাম তুলতে ব্যস্ত একটি ভ্যানকে পাশ কাটাতে গিয়ে ‘ডিভাইডার’ টপকে উল্টো ‘লেন’-এ ঢুকে পড়া একটি লরি। সেই সময়ে উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি মোটরবাইক। লরির সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল ওই মোটরবাইক আরোহীর। উলুবেড়িয়ার খলিসানি-কালীতলার কাছে মুম্বই রোডে শনিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম শিশির দাস (২৮) বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর বাড়ি হুগলির কোন্নগরে। তিনি একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় জখম শিশিরের সঙ্গী পাঁচলার পানিয়ারার বাসিন্দা প্রফুল্ল চক্রবর্তীকে ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শিশিরের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই লরি-চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় চালাচ্ছিলেন।
জাতীয় সড়কের ধারে অবৈধ ভাবে ইমারতি সরঞ্জাম ডাঁই করে রাখার জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক সুজয় আচার্য বলেন, “নির্দিষ্ট ভাবে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই বক্তব্য উলুবেড়িয়ার (এসডিপিও) শ্যামল সামন্তেরও।
|
সিপিএম কর্মী খুনে গ্রেফতার ২ |
শ্যামপুরে সিপিএম কর্মী শেখ রহমান আলিকে খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দু’জনেই তৃণমূল সমর্থক বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার ভোরে শ্যামপুরেরই বারগ্রাম থেকে শেখ জামালউদ্দিন ও নূর আমিনকে ধরা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। খুনের ঘটনায় তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল সিপিএম। এ দিন শ্যামপুরের তৃণমূল নেতা তথা হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য শ্রীধর মণ্ডল বলেন, “পুলিশ যাঁদের ধরেছে, তাঁরা আমাদের দলের কর্মী নন, সমর্থক। শেখ জামালউদ্দিনের বাড়ির সামনেই ঘটনা ঘটায় পুলিশ হয়তো ওঁকে ধরেছে।”
|
পুরপ্রধানকে সরতে নির্দেশ তৃণমূলের |
রিষড়ায় দলীয় পুরপ্রধান শঙ্কর সাউকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গত জানুয়ারিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন শঙ্করবাবু। তার পর থেকে ওই পুরসভায় নানা বিষয়কে ঘিরে তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে ‘মতানৈক্য’ চলছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। রবিবার কলকাতায় নিজাম প্যালেসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকা শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়েছে, শঙ্করবাবুকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। নতুন পুরপ্রধানন কে হবেন, দলের রাজ্য নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” শঙ্করবাবু বলেন, “লিখিত ভাবে দলের তরফ থেকে নির্দেশ পাইনি। তবে, নির্দেশের কথা শুনেছি। দলের সকলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।” |