|
|
|
|
পলাতক ছ’জন ছাত্রীর হদিস মিলল চণ্ডীতলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিবাঁধ ও চণ্ডীতলা |
বাঁকুড়ার রানিবাঁধের একটি স্কুলের হস্টেল থেকে পালিয়ে যাওয়া ছয় ছাত্রীকে হুগলির চণ্ডীতলা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির চার জন এবং নবম ও অষ্টম শ্রেণির দু’জন ছাত্রী পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে হস্টেল সুপার রানিবাঁধ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ওই ছ’জন চণ্ডীতলার জগমোহনপুরের জনৈক সত্য মান্ডির বাড়িতে ওঠে। সত্যবাবু চাষের কাজ করেন। তাঁর আদি বাড়ি বাঁকুড়ারই রাইপুরে। পালিয়ে আসা একটি মেয়ের বাবার সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। বাবার সঙ্গে মেয়েটি কয়েক বছর আগে সত্যবাবুর বাড়িতেও এসেছিল। সেই সূত্রেই সে অন্য বন্ধুদের এখানে নিয়ে আসে। পুলিশ জেনেছে, বাঁকুড়া থেকে বাসে চেপে ওই ছয় কিশোরী হুগলির মশাটে নামে। সেখান থেকে মিনিবাস ধরে জগমোহনপুরে পৌঁছয়। বেড়াতে এসেছে বলে সত্যবাবুকে ওই ছ’জন জানালেও সন্দেহ হওয়ায় তিনি ওই বন্ধুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর মেয়ে যে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে পালিয়েছে, সত্যবাবুর ওই বন্ধু তা জানতেন না। তিনি স্কুলে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। ইতিমধ্যে রানিবাঁধ থানা চণ্ডীতলা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। রবিবার সকালে চণ্ডীতলার ওসি দেবনাথ সাধুখাঁ ওই কিশোরীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। কেন তারা পালিয়ে এল, সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি ছ’জন। এক জন বলে, “কাজ করব বলে পালিয়েছি।”
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “কী কারণে তারা পালিয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বলেন, “শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির সময় নৈশরক্ষীর নজর এড়িয়ে ৬ জন ছাত্রী গেট টপকে পালিয়েছিল।” তাঁর দাবি, “স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে নয়, তারা অন্য কারণে পালিয়ে গিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়ে সে কথা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। আগামীদিনে ছাত্রী আবাস থেকে কেউ যাতে পালাতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|