|
|
|
|
রিষড়ায় পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ তৃণমূল নেতৃত্বের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রিষড়া |
হুগলির রিষড়া পুরসভার দলীয় চেয়ারম্যান শঙ্কর সাউকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল নেতৃত্ব। গত জানুয়ারিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন শঙ্করবাবু।
রবিবার কলকাতায় নিজাম প্যালেসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকা শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়েছে, শঙ্করবাবুকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। নতুন চেয়ারম্যান কে হবেন, দলের রাজ্য নেতৃত্বই সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” শঙ্করবাবু সন্ধ্যায় বলেন, “লিখিত ভাবে দলের তরফ থেকে ওই নির্দেশ পাইনি। তবে, নির্দেশের কথা শুনেছি। দলের সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।”
গত পুর নির্বাচনে রিষড়ায় আলাদা ভাবে লড়াই করে কংগ্রেস ৯টি আসন দখল করে। তৃণমূল পায় ৮টি। দু’দল জোট করে পুরবোর্ড গঠন করে। কংগ্রেস একটি আসন বেশি পাওয়ায় চেয়ারম্যান হন ওই দলের শঙ্কর সাউ।
কিছু দিনের মধ্যেই অবশ্য কংগ্রেসের ‘গোষ্ঠী-রাজনীতি’ জটিল হয় সেখানে। শঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত ১০ জানুয়ারি কংগ্রেসের চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এবং দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে। দিন কয়েকের মধ্যেই চেয়ারম্যান নিজেই আরও ৩ কাউন্সিলরকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায়। তাঁকে দলে নেওয়ায় তৃণমূলের অন্দরে তুমুল বিতণ্ডা হয়। যদিও, শঙ্করবাবুই চেয়ারম্যান থেকে যান। কিন্তু মতানৈক্য চলতে থাকে।
এ নিয়েই রবিবার নিজাম প্যালেসে ওই বৈঠক হয়। ছিলেন সাংসদ কল্যাণবাবু, দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব এবং পুরসভার আট জন দলীয় কাউন্সিলর। তবে, কংগ্রেস ছেড়ে যে কাউন্সিলররা দলে এসেছেন, তাঁরা ডাক পাননি। ফলে, শঙ্করবাবু নিজেও ওই বৈঠকে ছিলেন না। রিষড়ার এক তৃণমূল নেতার ‘ভূমিকা’ নিয়ে দলে প্রশ্ন ওঠে। তৃণমূল শিবিরের খবর, ওই নেতার থেকে কৈফিয়ত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। তা ছাড়াও, বৈঠকে ভদ্রেশ্বর পুরসভার ‘অচলাবস্থা’ নিয়েও আলোচনা হয়। সম্প্রতি ভদ্রেশ্বরের পুরপ্রধান দীপক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলেরই কিছু কাউন্সিলর। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। |
|
|
|
|
|