ত্রিপুরার দক্ষিণে সাব্রুমের ফেনি নদীর উপরে প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণের প্রাথমিক জটিলতা দূর হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই সেতু তৈরির প্রয়োজনে প্রথম পর্বের যে সব কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি, সেগুলি শুরু হবে। রাজ্য সচিবালয় সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ উভয়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ‘অনুমোদন’ মিলেছে। এই বিশেষ ‘অনুমোদনের’ বিষয়ে রাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, দু’দেশের বিশেষজ্ঞ কর্মীরা উভয় দেশে এখন অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন। দু’ দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সমীক্ষার পরই সেতু-নির্মাণ শুরু হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশে মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ফেনি নদীর উপরে সেতু নির্মাণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২০১০ সালে নয়াদিল্লিতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বৈঠকে। এ বিষয়ে পরে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও হয়। এত সব করার পরেও কার্যক্ষেত্রে কিছু ‘জটিলতা’ সৃষ্টি হচ্ছিল গত কয়েক মাস ধরে। সেতু নির্মাণ করার আগে সেতুর স্থান নির্ণয়, মাটি পরীক্ষা, সংশ্লিষ্ট এলাকায় সমীক্ষা ইত্যাদি কাজ করা জরুরি। অভিযোগ, ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ও কারিগরদের ও পারে গিয়ে কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা হচ্ছিল। একই ভাবে বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদদেরও ভারতীয় সীমানায় এসে কাজ করার ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছিল কিছু ‘সমস্যা’। এ সব ‘সমস্যা’ ও ‘জটিলতা’ দূর করার উদ্দেশ্যেই দ্বিপাক্ষিক স্তরের একটি ‘অনুমোদন’ প্রয়োজন ছিল, যা মিলেছে। কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সমীক্ষা। এরপর ‘রিপোর্ট’ তৈরি হবে। ত্রিপুরার বাণিজ্যমন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘সেতুটি নির্মিত হলে এ রাজ্য ছাড়াও সামগ্রিক ভাবে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবেন। বাংলাদেশেরও সুবিধা হবে। দু’ দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’ রাজ্য বাণিজ্য মহলের একাংশের ধারণা, সেতুটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে সাব্রুম হয়ে ত্রিপুরার আমদানি-বাণিজ্য আরও সহজ হয়ে উঠবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। |