দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে ‘টেক্সটাইল হাব’ তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হল রাজ্যের ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতর। এজন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করলেন বিভাগীয় মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা হস্তচালিত তাঁত এবং রেশম শিল্পের পুনরুজ্জীবনে আরও ১৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ওই দফতর। জেলাশাসকের মাধ্যমে প্রকল্পটি রূপায়িত হবে। শনিবার বিকেলে বালুরঘাটের রবীন্দ্র ভবনে হস্ত ও তাঁতশিল্পীদের সহায়তা শিবিরে যোগ দিয়ে ওই কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প তথা সেচমন্ত্রী মানসবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্যে ১১টি পিছিয়ে পড়া জেলার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর আরও পিছিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট তহবিল থেকে ন্যাচারাল ফাইবার মিশন প্রকল্পে রাজ্যের জন্য ৩০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। মাদুর, পাট, শোলা, বাঁশ, বেত, সাবুই ও বাবুই ঘাস থেকে তৈরি হস্ত শিল্পকর্মে যুক্ত শিল্পীদের আর্থিক সাবলম্বী করে তুলতে প্রতিটি জেলায় এই প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে।”
এই খাতে আলাদা করে ১৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। রাজ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের জন্য এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে বিভাগীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন। পাশাপাশি শিল্পবিহীন এ জেলার জন্য ‘ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল-হাব’ গড়তে জেলাশাসককে জমির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, “জেলার গঙ্গারামপুরে হস্তচালিত তাঁতের প্রতি বিগত বাম সরকারের চরম অবহেলার কারণে আজ এই শিল্প ও তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের চরম দুর্দশায় পড়তে হয়েছে। তাই গঙ্গারামপুরে টেক্সটাইল-হাব গড়ে তুলে এই শিল্পকর্মকে বাঁচানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।”এ দিন রবীন্দ্র ভবনের শিবির থেকে ৩৫৪ জন দুস্থ হস্তশিল্পীকে পরিচয়পত্র, ২৪৭ জনকে স্বাস্থ্য বিমার কার্ড এবং ৩৮ জনকে ঋণপত্র বিলি করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী-সহ তৃণমূলের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র, সত্যেন রায় এবং মাহমুদা বেগম। এদিন সেচ এবং ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে জেলায় নিয়ে এসেছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে তিনি জেলাশাসকের অফিসে বৈঠক করেন। |