ঝাড়খণ্ডের মজুর খুনে ধৃত আরও ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার |
ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী দিন মজুর খুনের ঘটনায় পুলিশ রবিবার আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল। ধৃতেরা হল জিগরিয়া মল্লিক এবং নৌসাদ মল্লিক। রবিবার বোলপুর আদালতে হাজির করানো হলে তাদের দু’দিন পুলিশি হেফাজত হয়। |
|
রবিবার অবরোধ ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধান কাটার জন্য মণিপুর গ্রামের ২৩ জন আদিবাসী পুরুষ-মহিলার দল ৩০ এপ্রিল চুনপলাশিতে আসে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় কিছু খেতমজুর ঝাড়খণ্ডের মজুর দলের মহিলাদের কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। তাঁদের পুরুষ সঙ্গীরা প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। ঝাড়খণ্ডের মজুরদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তাঁদের ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে স্থানীয় ওই খেতমজুররা লাঠি, রড এবং অ্যাসিড নিয়ে চড়াও হয়ে মারধর করে। শুক্রবার রাতে ইলামবাজার থানার চুনপলাশি গ্রামের ওই ঘটনায় রাকেশ মুর্মু (৩২) নামে এক মজুর খুন হন। শুকল মুর্মু ও নেহরু মুর্মু নামে তাঁদের দু’জন সঙ্গীকে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ শনিবারই শেখ সানাই নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। তারও ২ দিন পুলিশ হেফাজত হয়।
ঘটনার পর যে আদিবাসী মজুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তার খোঁজ মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিকে ভিন রাজ্য থেকে আসা ওই মজুরদের মারধর ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ইলামবাজারে পানাগড়-মোরগ্রাম সড়ক অবরোধ ও মিছিল করল বীরভূম আদিবাসী গাঁওতা। পরে বোলপুরের আইসি মহম্মদ আব্দুল আজিমের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। সংগঠনের আহ্বায়ক সুনীল সরেন-এর দাবি, “ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে আদিবাসী মজুরদের কাজের জায়গায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ডেপুটি পুলিশ সুপার (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) ঘটনার তদন্ত করছেন। সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।” |
|