ইরান থেকে কম তেল আমদানি করুক ভারত। দিল্লিতে গিয়ে এ কথাই বলবেন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি রডহ্যাম ক্লিন্টন। বাংলাদেশ থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে তাঁর সফরসঙ্গী এক আধিকারিক আজ এ কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের সঙ্গে আলোচনা করবেন অসামরিক ক্ষেত্রে পরমাণু সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে আরও বেশি পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা প্রশস্ত করার মতো বিষয়গুলি নিয়েও।
ভারত সফরের শুরুতেই আজ কলকাতায় এসেছেন হিলারি। কাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত এবং চিন-সহ মোট ১২টি দেশ ইরান থেকে প্রচুর পরিমাণ তেল আমদানি করে। এই পরিমাণ না কমালে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে পারে ওবামা প্রশাসন।
ভারতে প্রাকৃতিক তেলের সম্ভার খুবই কম। অথচ চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাই ভারতকে প্রতি বছর মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ তেল আমদানি করতে হয়। যার ১২ শতাংশই আসে তেহরান থেকে। তবে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের দ্রুত অবনতির ফলে ভারত ইতিমধ্যেই সৌদি আরব থেকে তেল আমদানি শুরু করেছে। ভারতের ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি, পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড এবং এসার অয়েল ইরান থেকে তেল আমদানি গত এক বছরে কমিয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। তবে এই পরিমাণ আরও কমাতে হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক। |