হাসিনার হাতে ভূরিভোজ প্রণবের
রাবরই তিনি স্বল্পাহারী। বিদেশে গেলে তো আরও। কিন্তু সেই নিয়ম তাঁকে ভাঙতে হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘শাসনে’! এত ব্যস্ততার মধ্যেও আজ নিজের হাতে পায়েস রান্না করেছিলেন পুরনো পারিবারিক বন্ধু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য। দু’বাটি খেয়েছেন প্রণব। কিন্তু মিষ্টি খেতে তো তিনি ভালই বাসেন। তদুপরি চার রকম মাছ আজ খেতে হয়েছে তাঁকে। রুই মাছের কালিয়া, তেল কই, চিতল মাছের বিরাট পেটি, চুনোমাছের ঝাল আর গলদা চিংড়ি। একসঙ্গে এত কী করে সামলালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? তাঁর কথায়, “কী করব! সামনে রীতিমতো ছড়ি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তো হাসিনা। না খেয়ে উঠতে দিলেন না।”
তবে শুধু হাসিনার শাসন নয়, প্রণববাবুর রসনা তৃপ্ত করতেও বোধহয় এই মাছের দরকার ছিল। কারণ, গত দু’দিন ম্যানিলায় কার্যত সব্জি সেদ্ধ আর ফল খেয়ে ছিলেন তিনি। ফিলিপিন্সের সাধারণ খাদ্য বাঙালির কাছে খুব লোভনীয় নয়। হোয়াইট সসে চোবানো কাঁচা মাছ বা আধ সেদ্ধ গরুর মাংস আর যা-ই হোক প্রণব মুখোপাধ্যায় ছোঁবেন না। আজ রবীন্দ্রসদনে বক্তৃতা দিতে উঠে অন্তত দু’বার প্রণববাবুকে ‘বাংলাদেশের পরম বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে যখন যেখানেই গিয়েছেন, প্রণববাবুকে দেখতে উপচে পড়েছে ভিড়।
সমস্ত বৈঠকের শেষে বাংলাদেশের সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের সম্পাদকদের সঙ্গে খোশ মেজাজে আড্ডাও মেরেছেন তিনি। এক সম্পাদক তো আগ বাড়িয়ে বলেই বসলেন, ‘আমরা শুনেছি আপনিই রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমাদের অভিনন্দন গ্রহণ করুন।’ শুনেই হো হো করে হেসে উঠলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। হাসতে হাসতে বললেন,‘এই ব্যাপারে আপনাদের মতো আমিও অন্ধকারে। আমাদের দেশে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তা নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয় না।’
দিল্লি থেকে আম-সহ বিভিন্ন উপহার এনেছেন প্রণববাবু। তাঁর হাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর জন্য উপহার পাঠিয়েছেন হাসিনা। ওই উপহারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত বস্ত্র বিপণির শাড়িও।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.